ছেলেদের নামাজের সঠিক নিয়ম - মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম জানুন

আসসালামু আলাইকুম, নামাজ একটি ফরজ এবাদত, এর জন্য নারী ও পুরুষ উভয়কে সঠিক নিয়মে নামাজ পড়তে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের ছেলেদের নামাজের সঠিক নিয়ম এবং মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আপনারা যারা নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম জানেন না তারা আমাদের এই পোস্টে আলোচিত ছেলেদের নামাজের সঠিক নিয়ম এবং মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ছেলেদের নামাজের সঠিক নিয়ম এবং মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম জেনে রাখা অবশ্যই আপনার আবশ্যক।
চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নিই ছেলেদের নামাজের সঠিক নিয়ম এবং মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম। আপনারা যারা ছেলে ও মেয়ে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই আমাদের ছেলেদের নামাজের সঠিক নিয়ম এবং মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে পুরো পোস্টটি পড়ুন।

সূচিপত্র

ছেলেদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়মঃ

আপনারা হয়তো অনেকেই ছেলেদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না, তাই আজকে আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে ছেলেদের নামাজ পড়া সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে এসেছি। নিচে ছেলেদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ 

কেবলামুখী এবং তাকবীর তাহরিমাঃ

নামাজ আদায়ের জন্য প্রথমে নামাজী ব্যক্তি কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে। কেবলামুখী সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আপনার অন্তরে আল্লাহতালার জন্য খুশি এবং বিনম্র ভাব সৃষ্টি করতে হবে। অন্য কোন চিন্তা ভাবনা মাথায় নেওয়া যাবে না। এরপর আপনি যেই ওয়াক্তের নামাজের জন্য দাঁড়াবেন মনে মনে সেই নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত বাঁধবেন। নিয়ত বাধার পর দুই হাত কাধ বরাবর তুলে বা কান বরাবর উঠিয়ে ‘‘আল্লাহু আকবার” বলে ডান হাত বাম হাতের ওপর দিয়ে কব্জি ধরে নাভির নিচে হাত বাঁধতে হবে।
সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত এবং ছানা পাঠঃ

নামাজী ব্যক্তি কেবলামুখীর দিকে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে ও সিজদার জায়গায় তাকিয়ে ছানা পাঠ করবেন এবং তারপর বিসমিল্লাহ বলে সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত করবেন।

ছানাঃ ‘‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওতাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গইরুক”।

অর্থঃ ‘‘হে আল্লাহ! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই”।

সূরা ফাতিহা শেষ করার পর কোরআন থেকে অথবা যেকোনো সূরা পড়তে হবে। আপনার যদি মনে হয় কোরআন থেকে যেকোনো ছোট আয়াত তেলাওয়াত করবেন তাও হবে। আপনারা ফজর, মাগরিব এবং ইশা এই ওয়াক্তের ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাত প্রকাশ্যে বা জোরে জোরে তেলোয়াত করবেন। 

রুকু এবং রুকু থেকে ওঠাঃ
  • উপরুক্ত নিয়মে ছানা এবং ছোট সূরা পাঠ করা শেষ হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার বলে তাকবীর দিয়ে রুকুতে যেতে হবে। 
  • রুকুতে গিয়ে দুই হাটুর ওপরে দুই হাত প্রশস্ত করে ধরে থাকবেন। 
  • রুকুতে গিয়ে ‘‘সুবহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আজিম” কমপক্ষে তিনবার পড়তে হবে।
  • এরপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় ‘‘সামি আল্লাহু লিমান হামিদা” করতে হবে।
  • রুকু থেকে ওঠার পরে সোজা হয়ে এবং পিঠ ও মাথা সমান্তরাল হয়ে থাকবে তবে চোখ সিজদার জায়গায় থাকতে হবে।
  • সিজদা এবং সিজদা থেকে ওঠাঃ
  • এবার চলুন জেনে নিই ছেলেদের নামাজে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী সেজদা দেওয়ার নিয়ম গুলোঃ
  • সিজদা দেওয়ার জন্য আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় চলে যাবেন।
  • সিজদায় গিয়ে দুই হাটু সর্বপ্রথম মাটির স্পর্শ করাবেন এরপর দুই হাত, কপাল ও নাক রাখতে হবে।
  • সিজদায় গিয়ে কান বরাবর দুই হাত বার কাজ বরাবর কেবলামুখী হয়ে বিছিয়ে দিতে হবে।
  • সেজদায় গিয়ে আপনার দুই হাতের কনুই মাটিতে ঠেকানো যাবে না
  • দুই হাতের কনুই একটু উঁচু করে রাখতে হবে এবং দুই কোনুই বগল, রান এবং পেট তো হতে দূরে রাখতে হবে।
  • এরপর সিজদায় গিয়ে ‘‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” এই দোয়াটি কমপক্ষে তিন বার পড়তে হবে।
  • এরপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদা থেকে উঠে দুই থেকে তিন সেকেন্ড অপেক্ষা করে আবার সেজদায় একই অবস্থায় এবং একইভাবে চলে যেতে হবে।
  • তবে মনে রাখতে হবে সেজা থেকে ওঠার সময় দুই হাত কান পর্যন্ত তোলা যাবে না।
  • এরপর বাম পা মাটির সাথে বিছিয়ে তার ওপর বসে ডান পা খাড়া করে রাখতে হবে।
  • পা খাড়া করে রাখার সময় ডান পায়ের আঙ্গুলগুলো কেবলা মুখি হয়ে রাখতে হবে।
  • দ্বিতীয় সিজদা দিয়ে কিছুক্ষণ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে কেবলামুখী হয়ে হাতের উপর ভর করে দাঁড়াতে হবে।

উপরোক্ত প্রথম রাকাতের মতন করে দ্বিতীয় রাকাত পড়তে হবে।

তাশাহুদঃ

দ্বিতীয় রাকাত শেষ হলে পূর্বে দেখানো অবস্থা অনুযায়ী বসতে হবে এবং দুই হাত উড়ুর উপরে রেখে বাম হাতের আঙ্গুল প্রশস্ত রাখতে হবে। ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল এবং অনামিকা আঙ্গুল গুটিয়ে রাখতে হবে। এরপর মধ্যমা আঙ্গুল বৃদ্ধাঙ্গুলের সাথে চক্রাকারে গুটিয়ে রাখতে হবে। এবং মধ্যমা আঙ্গুল কে বৃদ্ধাঙ্গুলের সাথে চক্রাকারে রাখতে হবে। এরপর তার জন্য আঙ্গুল দ্বারা ইশারা দিতে হবে এবং নিম্নোক্ত দোয়া গুলো পড়বেনঃ

তাশাহুদের দোয়াঃ ‘‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত্ ত্বায়্যিবাতু, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, আসসালামু আলাইনা ওয়া ‘আলা ইবাদিল্লাহিস সলিহিন, আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু”।

আরো পড়ুনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম ও সূরা বিস্তারিত জানুন

অর্থঃ ‘‘সকল সম্মান, সকল উপাসনা ও সকল পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর সকল অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি নাযিল হোক। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাদের উপর। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মোহাম্মদ সাঃ তার বান্দা ও রাসূল”।

দরুদ শরীফঃ ‘‘আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ,আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলাআলি মুহাম্মাঁদিন কামা বারকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ”।

দোয়া মাসুরাঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফসি যুলমান কাসিরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয জুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগফির লি মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রহিম”।

দোয়া মাসুরাঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফসি যুলমান কাসিরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয জুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগফির লি মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রহিম”।

উপরোক্ত দোয়া গুলো পড়া শেষ হয়ে গেলে প্রথমে ডান দিকে ঘুরে ‘‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে সালাম ফেরত আগে এবং তারপরে একই দোয়া পড়ে বামদিকে ঘুরে সালাম ফেরাতে হবে। এভাবে আপনার নামাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। সালাম ফিরানোর শেষ হয়ে গেলে আপনি আল্লাহতালার কাছে দুই হাত তুলে মুনাজাত করতে পারবেন।

মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম ভূমিকাঃ

নামাজ একটি ফরজ এবাদত। আর এই পরজীবী তাদের জন্য সবসময়ই নিজেকে পাক-পবিত্র রাখা দরকার। এর জন্য নামাজের শুরুতে প্রথমে আপনাকে সঠিকভাবে পাক-পবিত্র হয়ে নিতে হবে। পাক পবিত্র বলতে সঠিক নিয়মে ওযু গোসল করতে হবে। এরপর পরিষ্কার জামা কাপড় ভালোভাবে পরিধান করতে হবে যেন আপনার সমস্ত শরীর ঢেকে থাকে এবং শুধু মুখ মন্ডল যেন বের হয়ে থাকে। কাপড় পরিধানের পর আপনার সতর ঠিকভাবে ঢেকেছে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এরপর নামাজের জন্য কেবলা মুখি হয়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে স্থির রাখতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার প্রতি অন্তরে অনুভূতি জাগাতে হবে। কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানোর সময় নারীদের দুই পা একদম কাছাকাছি রাখতে হবে।

মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়মঃ

আপনারা হয়তো অনেকেই মেয়েদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না, তাই আজকে আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমেমেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে এসেছি। নিচে মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

তাকবীর-তাহরিমাঃ

প্রথমে যেই ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন সেই ওয়াক্তের মনে মনে নামাজের নিয়ত বাঁধতে হবে। এরপর দুই হাত কাট বরাবর এবং সমান উচ্চতায় তুলতে হবে। আঙ্গুলগুলো কাছাকাছি থাকতে হবে ও মুখ কেবলামুখী হয়ে দুই চোখ সেজদার স্থানে রাখতে হবে।

সানাঃ 

এরপর মেয়েরা দুই হাত বুকের ওপর সমান করে বাঁধবে। বাম হাতের ওপর ডান হাত দিয়ে হাতের আঙ্গুলগুলো সমান স্থানে রাখতে হবে। পুরুষের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে ডান হাতের ওপর বাম হাত দিয়ে কব্জি পেঁচিয়ে ধরে কিন্তু এটা মেয়েদের করা যাবে না। এরপর ছানা পড়বেন।

সানাঃ ‘‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওতাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গইরুক”।

অর্থঃ ‘‘হে আল্লাহ! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই”।

সানা পাড়া শেষ হয়ে গেলে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম বলে প্রথমে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে এবং তারপর যেকোনো ছোট সূরা বা কোরআনের যে কোনো আয়াত পড়তে হবে।

রুকুঃ 

রুকুতে এসে মেয়েরা আঙ্গুল দিয়ে হাঁটু পর্যন্ত যেন ধরা যায় সেই পরিমাণ ঝুঁকতে হবে। হাঁটুতে আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করার সময় আঙ্গুলগুলো যেন সোজা হয়ে থাকে যেন কোন রকম ছড়িয়েছেটে না থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুরু করতে গিয়ে মেয়েরা হাঁটু বার করে সামনের দিকে ঝুঁকতে হবে। এরপর রুকুতে গিয়ে মেয়েরা দুই চোখ সমানভাবে পায়ের আঙ্গুলের বরাবর থাকতে হবে। এরপর রুকুতে গিয়ে ‘‘সুবহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আজিম”  এই দোয়াটি কমপক্ষে তিনবার পড়তে হবে। এরপর রুকু শেষ হলে তোমার সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। রুকু থেকে দাঁড়ানোর সময় ‘‘সামি আল্লাহু লিমান হামিদা” এই দোয়াটি পড়ে দাঁড়াতে হবে।

সেজদায় যাওয়ার নিয়মঃ

রুকু থেকে ওঠার দোয়া পড়া শেষ হলে আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় চলে যেতে হবে। সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে আপনাকে মাটির সাথে হাটু তারপর হাত, এরপর নাক এবং সর্বশেষে কপাল স্পর্শ করতে হবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে সকল অঙ্গ বাহু, পা, হাটু যথাসম্ভব একে অপরের সাথে এবং ভূমির কাছাকাছি রাখতে হবে। মেয়েদের পায়ের আঙ্গুলগুলো বসার সময় কেবলা মুখি হয়ে থাকতে হবে। সিজদা যাওয়ার পর ‘‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” এই দোয়াটি কমপক্ষে তিনবার পড়তে হবে।

আরো পড়ুনঃ শবে কদরের ফজিলত - লাইলাতুল কদরের রাতের গুরুত্ব বিস্তারিত জানুন

দোয়াটি পড়া শেষ হলে আল্লাহু আকবার বলে কিছুক্ষণ সময় বসে আবার সিজদায় চলে যেতে হবে। সেজদা দেওয়া শেষ হলে কিছুক্ষণ সময় বসে আল্লাহু আকবার বলে পুনরায় দাঁড়াতে এবং দ্বিতীয় সিজদার জন্য আবার প্রথমে বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিম বলে সূরা ফাতিহা এবং তারপর যে কোন ছোট সূরা পড়ে উপরে দেখানো রুকু এবং সিজদায় চলে যেতে হবে। দুই সিজদা শেষ হলে সিজদা থেকে উঠে বসতে হবে।

শেষ বৈঠকঃ

দুই রাকাত নামাজের সেজদা শেষ হলে বৈঠকে বসে তিনটি দোয়া পড়তে হবে। দোয়া গুলো হলঃ

তাশাহুদের দোয়াঃ

‘‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত্ ত্বায়্যিবাতু, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, আসসালামু আলাইনা ওয়া ‘আলা ইবাদিল্লাহিস সলিহিন, আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু”।

দরুদ শরীফঃ

‘‘আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ,আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলাআলি মুহাম্মাঁদিন কামা বারকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ”। 

দোয়া মাসুরাঃ 

“আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফসি যুলমান কাসিরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয জুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগফির লি মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রহিম”।

সালাম ফেরানোঃ

ওপরে তিনটি দোয়া শেষ করে প্রথমে ‘‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” এই দোয়াটি পড়ে সালাম ফেরাতে হবে। এরপর একই দোয়া পড়ে বাম পাশে ঘুরে সালাম ফেরাতে হবে। সালাম ফিরিয়ে নামাজ সম্পন্ন করতে হবে। এরপর মোনাজাত করতে হবে। মোনাজাতের দোয়া নিম্নরূপ।

মোনাজাতের দোয়াঃ 

‘‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাও ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাও ওয়া কিনা আযাবান্নার। ওয়া সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলা খাইরি খালক্বিহি মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহি ওয়াআছহাবিহি আজমায়ীন, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন’’।

শেষ কথাঃ

আমরা আজকের এই পোস্টটিতে ছেলেদের নামাজের সঠিক নিয়ম এবং মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যারা নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তারা আমাদের এই পোস্টটি পড়বেন। আল্লাহ তাআলা আপনাদের নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুক। আপনারা যারা ছেলে ও মেয়ে আছেন আমাদের এই পোস্টটিতে আলোচিত ছেলেদের নামাজের সঠিক নিয়ম এবং মেয়েদের নামাজের সঠিক নিয়ম বিস্তারিত জানুন। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url