6G প্রযুক্তি কি? ৬জি কবে আসছে - ৬জির সুবিধা অসুবিধা

সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন 6 জি কবে আসবে। 6G প্রযুক্তি মানে হল ষষ্ঠ-প্রজন্মের বেতার অর্থাৎ ইন্টারনেট। এখন বাংলাদেশে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক রয়েছে কিন্তু ৫জি থেকে 6G প্রযুক্তি আরো অনেক উন্নতমানের। ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর থেকে 6G প্রযুক্তি আরও উন্নত মানের ফ্রিকোয়েন্সি হবে এবং অনেক লেটেন্সি থাকবে। ৬জি প্রযুক্তি অর্থাৎ ইন্টারনেট এর অন্যতম কাজ হল লেটেন্সি যোগাযোগ করা। এর স্প্রিড অনেক দ্রুত হবে। অর্থাৎ মিলি সেকেন্ড এর চেয়ে 1000 গুন দ্রুত।
আপনি যদি 6G নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং এটা কিভাবে কাজ করবে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি পড়বেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক 6G প্রযুক্তি কি? 6G কবে আসবে এবং ৬জির সুবিধা অসুবিধা।

সূচিপত্রঃ ৬জি কবে আসছে - ৬জির সুবিধা অসুবিধা

৬জি প্রযুক্তি কি?

সহজ ভাষায় বলা যায়, 6G প্রযুক্তি অর্থাৎ ষষ্ঠ প্রজন্ম বেতার। পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট কে বলা হয় 6G। এখন পর্যন্ত ৬জির কোন উন্নতি দিক দিয়ে কোন কিছু শোনা যাচ্ছে না। 2022 সালে নভেম্বর মাসে চীন এটি একবার চালু করেছিলেন। শুধুমাত্র একটি পরীক্ষা করার জন্য। কিন্তু ষষ্ঠ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সিস্টেম প্রযুক্তিটা আরও অনেক উন্নত দিক নিয়ে যাবে আশা করা যায়। বিজ্ঞান এখন শুধু 6G একটি ধারণা দিয়ে গেছেন। 6G প্রযুক্তি বাস্তবে পরিণত করার জন্য সম্পূর্ণভাবে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ভবিষ্যতে এটি অগ্রগতির দিক নিয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

৫জি থেকে 6G সুবিধাগুলো কি কি?-৬জি কবে আসছে

6G 1 সেকেন্ডে এক টেরাবাইট ডাটা প্রয়োজন হবে বলে আশা করা হয়।এক্সেস পয়েন্ট নম্বর ফ্রিকোয়েন্সি বিভাগ থেকে এক্সেস এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট পরিবেশন করতে সক্ষম হবে। সক্ষমতা এবং বিলম্বের দিক দিয়ে 5g অ্যাপ্লিকেশন গুলোর কার্যকারিতা আরো প্রসারিত করবে ও ওয়ারলেস ইন্টারনেট গুলো এপ্লিকেশনগুলি থেকে সমর্থন করার জন্য সক্ষমতা সুযোগ অধিক পরিমাণে প্রসারিত করবে যেমন ইমেজিং,সেন্সি ও চেতনা। 

আরো পড়ুনঃ গুগোল ম্যাপে কিভাবে লোকেশন ট্রাক করে

6G প্রযুক্তি ফ্রিকোয়েন্সি গুলো আরো উচ্চতা এবং ভালো থ্রুট ও উচ্চতর ডাটা রেট সরবরাহ করতে সক্ষম হবে এবং খুব দ্রুত স্প্যামলিং করতে সক্ষম হবে। এ দুইটা সংমিশ্রণে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হবে অর্থাৎ মিলিমিটার থেকে কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য। এর আপেক্ষিক যাচাই করার জন্য ফ্রিকোয়েন্সি নির্বাচন অর্থাৎ বৈদ্যুতিক চুম্বক শোষণের জন্য হার সম্ভাব্য উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে যেতে পারে এর অর্থ বোঝাই ওয়ারলেস ইন্টারনেট প্রযুক্তি। কম্পিউটার, মোবাইল আরো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যন্ত্র গুলো সবকিছুই 6G নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হবে।

বর্তমানে ৫জি ইন্টারনেট গুলো যোগাযোগ মাধ্যম সবকিছুর অংশ হিসেবে 6G প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করার সময় মোবাইল এবং কম্পিউটারের কোড সব কিছুই সম্ভবত করবে এগুলো সব কিছুর জন্য 6G ক্ষমতাগুলো আরো উন্নত মানের এক্সেস নিয়ে আসবে যা সেক্সি প্রযুক্তি অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকবে।

৬জি প্রযুক্তি নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য - ৬জি কবে আসছে

এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থায়ী নেটওয়ার্কের সম্পর্কে কোন কিছুই ধারণা করতে পারেনি। 6G নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য গুলো কি হতে পারে সেগুলো ধারণা করতে সক্ষম হয়নি। যোগাযোগের সংস্থাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে আনতে পারে কিন্তু ব্যান্ডউইথ কথা আছে। কারণ 6Gনেটওয়ার্ক এক সেকেন্ডে প্রায় ৯৫ গিগাবাইট ট্রান্সফার করে। 6G প্রযুক্তি অনেক উন্নত মানের দ্রুতগামী। এছাড়াও বলা যায় 6G লেটেন্সি ও ফ্রিকোয়েন্সি আরও উন্নত মানের হবে বলে আশা করা যায়।

বর্তমান প্রজন্মে ফাইভজি নেটওয়ার্ক অনেক ভালো। থ্রিজি নেটওয়ার্ক এর বাস্তবে একটি ফোকাসের সঙ্গে নির্ধারণ করা যায়। আমরা যারা বাসায় বসে থেকে ইন্টারনেট ব্রাজার গুলো ব্যবহার করে থাকি যেমন ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার এগুলো এই মুহূর্তে আমরা ফোরজি হিসেবে দেখতে পাই। এর ব্র্যান্ডউইথ অনেক ভালো সরবরাহ করে থাকে। তাই আমাদের মত ব্যবহারকারীরা ৫জি ও 6G প্রযুক্তি গতির পার্থক্য কখনোই লক্ষ্য করতে পারবো না। 

যদি ব্যান্ডউইথ বা স্পিডে দিক দিয়ে 5G ও 6G পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তাহলে ইন্টারনেট ডিভাইসের সংখ্যা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে বা ব্যবহারকারীর সংখ্যা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হারে বোঝা যায় ১০ থেকে ১৬ বছর হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যায় শীর্ষের ক্ষমতা যাই হোক না কেন ব্র্যান্ডউইথের থেকে নেটওয়ার্ক ইসকেলিভিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

সময়ের হ্রাসে থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহারকারীদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 6Gপ্রযুক্তি নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য হলো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বাড়ানো এবং সাথে লিটেন্সি ও নেটওয়ার্কের উন্নত করা। এন্টিবডির মতো সংস্থাগুলো 6G প্রযুক্তি নেটওয়ার্কের সম্পর্কে অনেক আশাবাদী হয়ে আছে।

6G প্রযুক্তি নিয়ে কে কাজ করছে? ৬জি কবে আসছে

শিল্প খেলোয়াড়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে 6g প্রতিযোগিতা। পরিমাপ ও পরীক্ষা প্রযুক্তি সহ বিকাশে বিরোধিতা। 6G প্রযুক্তির কোন দেশগুলো ও এর সম্পর্কিত এপ্লিকেশনগুলো বিস্তার করে থাকে যা দেখার তুলনায় ৫জি পৌঁছানোর জন্য দৌড় বোঝানো যায়। টেলিযোগাযোগ ইনস্টিটিউট ও দক্ষিণ কোরিয়া ইলেকট্রনিক্স ৬জির জন্য টেরাবাইট ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডউইথ নিয়ে গবেষণা করছে। ১০০ জি নেটওয়ার্কগুলি থেকে চার গুণ দ্রুতগামী এবং 5g নেটওয়ার্ক এর থেকে আরও পাঁচ গুণ দ্রুতগামী গতিতে কল্পনা করা যাচ্ছে।

 তথ্য মন্ত্রণালয় এবং চীনের গবেষণায় ও পর্যবেক্ষণে আশা দিয়েছে 6G আসছে দেশে। এ এফ সি সি 6G খোলা হয়েছে। ২০২০ সালে ইসপেট্রাম পরীক্ষা করার জন্য ৯৫ গিগাহার্টের ফ্রিকোয়েন্সি থেকে ৩ টিএইচ জেড। যোগাযোগ সংস্থার উন্নত মানের করতে যাচ্ছে। ডিজিটাল যুগের জন্য অগ্রিকামি 6G গবেষণা করা হচ্ছে। শিব জি বিক্রেতার জন্য হাওয়ায় রোডের মতো বড় সংস্থাগুলো এর মাঝখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যেমন স্যামসাং নোকিয়া সহ আরও অনেক ধরনের তারা সবাই একসাথে কাজ করে যাচ্ছে 6G।
6G কিভাবে কাজ করবে

আমরা কেউ জানি না 6G প্রযুক্তি কিভাবে উন্নত করা হবে। 6G কিভাবে কাজ করবে। কারণ আমাদের সবার কাছে এখন 6G প্রযুক্তি শুধুমাত্র একটি পরিকল্পনা। তবে গবেষকরা 6G নিয়ে কাজ করার জন্য সক্ষম হয়েছেন সাধারণ ভাষায় বলা যায়, দ্রুতগামী ফ্রিকুয়েন্সি ডাটা ও ব্র্যান্ডউইথ প্রেরণ করে থাকবে। ধারণায় বোঝা যায় যে ৫জি পর্যন্ত যাবে ফ্রিকোয়েন্সি কারণ এর উপরে কোন দেশি পৌঁছাইতে পারছে না। 

কিন্তু গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে 6G প্রযুক্তি হাই ফ্রিকুয়েন্সি ১০০ বিঘা হাটসে থেকেও আরো বেশি নিতে সক্ষম হবে। কিন্তু এর তরঙ্গ গুলো খুব সংক্ষিপ্তভাবে এবং বেশি ভ্রমণ করতে পারবে না বলে বোঝা যায়। এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বলে ধারণা করা যাচ্ছে। কিন্তু এটি ১০০ গিগা হার্জধারণ ক্ষমতা রাখতে পারবে।

6G প্রযুক্তি কবে পাওয়া যাবে

বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় শিল্প হচ্ছে প্রযুক্তি শিল্প। যার একটি শ্বেতপত্র হলো স্যামসাং। যদি সবকিছু ঠিক রাখতে চাই তাহলে সিজি নামের এই প্রযুক্তি শুরু করতে পারে এ বছরের ভিতরে। স্যামসাংয়ের মতে বলা যায়,২০২৮ সালের 6G প্রযুক্তি কাজ তো শেষ হতে পারে। ৬ জির জন্য স্যামসাং মনে করে নেটওয়ার্ক উদ্বোধন হওয়ার আগেই কয়েক বছর সময় নিতে পারে কারণ 6G প্রযুক্তি ব্যবহারের আশা করা যেতে পারে ২০৩০ সালের মধ্যে।

কিন্তু আর্টিকেল লিখা সর্বপ্রথমে আমি একটি কথা বলেছিলাম সি জি এটি একটি এমন প্রযুক্তি যে আপনি জীবনে ব্যবহার করতে পারবেন কিনা আশা করা যায় না।২০৩০ সালের মধ্যে 6G প্রযুক্তি উদ্বোধন হবে ঠিকই কিন্তু বাংলাদেশে কমপক্ষে৫০-৬০ বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা যায়।

শেষ কথাঃ ৬জি কবে আসছে

৬জি কবে আসবে এই ধারণাটা অনেক আগ থেকে পরিকল্পিত করা হয়েছে। যখন দেশে জনসংখ্যা আরো আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং ইন্টারনেট ও ব্র্যান্ডউইথ ব্যবহারকারীরা বেশি বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকবে তখন প্রত্যাশা করা যায় কিচিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসবে আমাদের দেশে। দক্ষিণ কোরিয়া স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বলেছেন সিক্স দিয়ে হোয়াইট পেপার এক্সপেরিয়েন্সের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। আপনি যদি ধৈর্য সহকারে প্রথম থেকে আমার আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের সাথেই থাকুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url