পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ ২০২৩

নতুন বছর ২০২৩ সালে পুলিশ নিয়োগ সার্কুলার প্রকাশ করা হবে আশা করা যায়। যারা নিজের দেশের একজন গর্বিত পুলিশ সদস্য মনে করে থাকেন তাহলে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষ নিয়ে ভাবছেন, তাদের জন্য পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ ২০২৩সালের বাছাইকৃত কিছু ধাপের নির্দেশনা দেওয়া হল।
পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ নিয়ে কোন কিছু চিন্তা করার নেই। প্রতিবছরের মত এবার নতুন বছরেও পুলিশ কনস্টেবল পদে সার্কুলার দেওয়া হবে।

সূচিপত্র

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

 উন্নত বাংলাদেশের জন্য উপযোগী গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই নতুন বছরে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার আধুনিক ভাবে করা হয়েছে। এবছরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কনস্টেবল পদে সাতটি ধাপ অনুসরণ করে কনস্টেবল এর যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করা হবে।

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ নীতিমালা ২০২৩

নতুন বছরের নতুন নিয়মে পুলিশ কনস্টেবল প্রার্থীদের বাছাই প্রক্রিয়ায় পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ বলেন, উন্নত দেশ এবং প্রতিবেশী দেশের নিয়োগ পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল নীতিমালা নতুন করে করা হয়েছে। মেধা ও শারীরিক ক্ষমতার দিক দিয়ে বেশি যোগ্য ব্যাক্তিরাই পুলিশ কনস্টেবল কিসের গর্বিত সদস্য হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকবে।

পুলিশে আবেদন করার যোগ্য

বাংলাদেশের যেসব জনগণ স্থায়ী নাগরিক,অবিবাহিত পুরুষ এবং অবিবাহিত মহিলা, যাদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর,এইসব প্রার্থীগুলোর সাথে অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত বয়স সীমার মধ্যে আবেদন করার যোগ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২২ সর্বোচ্চ সময় পৌঁছে গিয়েছেন তারাও আবেদন করতে পারবে।

পুলিশের গর্বিত সদস্য শারীরিক যোগ্যতা

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃএসএসসি বা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে সর্বনিম্ন জিপিএ ২.৫ থাকতে হবে।শারীরিক যোগ্যতাঃ সাধারণভাবে বা অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে পুরুষের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। নারীদের উচ্চতা সাধারণভাবে এবং অন্যান্য কোটার জন্য পাসপোর্ট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা বা ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর জন্য কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে। অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে বুকের মাপ ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিতভাবে ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। চাকরির ধরন হলো সরকারি চাকরি।

পুলিশ নিয়োগ বাছাইকৃত পদ্ধতি সাত ধাপে

পুলিশ নিয়োগ বাছাইকৃত পদ্ধতি এর সাতটি ধাপ হল প্রথমত প্রাথমিক স্কিম, শারীরিক সনশীলতার, পরীক্ষা শরীরের পরিমাপ,লিখিতভাবে পরীক্ষা,মৌখিক পরীক্ষা মস্তিষ্ক পরীক্ষা, পুলিশ ভেরিফিকেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এবং অবশেষে প্রশিক্ষণ যুক্ত হওয়া। সাধারণত এই সাতটি ধাপের একটিতেও যদি অযোগ্য প্রমাণ হয় তাহলে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে না।

প্রাথমিক স্ক্রিন

যারা পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ করতে চান তাদের প্রথমত Police.reletalk.com.bd ওয়েবসাইটের লগইন করে আবেদন করতে হবে। যদি কোন মিথ্যা প্রমাণ এবং ওর সম্পূর্ণ তথ্য দিলে আবেদনকারীর ফরম বাতিল করা হবে। আবেদন করার পরে মোবাইলে জানানো হবে পরবর্তী ধাপে নির্বাচন হয়েছে।

শারীরিক এবং সহনশীলতার পরীক্ষা

এ পরীক্ষার প্রথম অবস্থায় তিন দিনে প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। বুকের মাপ এবং ওজন ও নথিপত্রের প্রবেশের যাচাই করা হবে। দ্বিতীয় দিনে ২০০ মিটার দৌড় লংজাম এবং হাই জাম্প ও পুশ আপ দেওয়ানো হবে। তৃতীয় দিনে ১৬০০ মিটার দৌড়, ক্লাইমিং এবং ড্রাগিং করানো হবে।দ্বিতীয় দিনের প্রথমে পুরুষকে ২৮ সেকেন্ডে ২০০ মিটার এবং মহিলাকে ৩৪ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড় দিতে হবে।

পুরুষ ৩৫ সেকেন্ডে ১৫ টি এবং মহিলা ১০ বার পুশ আপ করতে হবে। লং জাম পুরুষের জন্য ১০ ফুট উচ্চতা এবং মহিলাদের জন্য ছয় ফুট উচ্চতায় দিতে হবে। পুরুষের জন্য তিন ফুট উচ্চতায় হাই জাম্প এবং নারীদের জন্য আড়াই ফুট উচ্চতায় হাই জাম্প করতে হবে।

শারীরিক যোগ্যতা

আগের পরীক্ষাগুলো শেষ হওয়ার পরে তৃতীয় দিনে পুরুষদের জন্য ছয় মিনিটে ৩০ সেকেন্ডের ১৬০০ মিটার দৌড় এবং মহিলাদের জন্য ছয় মিনিটে এক হাজার মিটার দৌড় দিতে হবে। ড্রাগনের সময় মহিলাদেরকে ২০ ফুট দূরত্বে ১১০ পাউন্ড ওজনের টায়ার টেনে নিয়ে যেতে হবে এবং পুরুষদের জন্য ১৫০ পাউন্ড ওজনের টায়ার টেনে নিয়ে যেতে হবে। এই ইভেন্ট গুলো শেষ হওয়ার পর পুরুষদের জন্য ১২ ফুট দূর এবং মহিলাদের জন্য ৪ফুটে উঠতে হবে। এগুলো সবকিছুতে উত্তীর্ণ হলে শারীরিক এবং সমান ছিল তাই চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।

কনস্টেবল পুলিশ নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা

  • পুলিশ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষাঃশারীরিক সহনশীলতা এবং শারীরিক পরিমাপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিতে হবে। বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত এবং সাধারণ বিজ্ঞান টোটাল ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
  • পুলিশ নিয়োগে মস্তিষ্ক ও মৌখিক পরীক্ষাঃলিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিতে হবে।
  • পুলিশ নিয়োগের প্রাথমিক নির্বাচন করাঃ যেগুলো প্রার্থী উপলুক্ত পরীক্ষা নির্বাচিত হয়েছেন প্রাথমিকভাবে শূন্য পদ এবং কোটার মাধ্যমে ভিত্তি করে মস্তিষ্ক, ঠিক এবং লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে বাছাই করা হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন

যারা প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে তাদের নিজের জেলায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফ্রমটি পূরণ করা লাগবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনে যদি কোন সন্তোষজনক কিছু না হয় তাহলে তা বাতিল ঘোষণা করা হবে এবং হওয়ার পরে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হবে। তবে গোপন তথ্য বা মিথ্যা তথ্য দিলে প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

পুলিশ নিয়োগের চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ

প্রার্থীরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দেওয়ার পরে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিনিধিদের সমন্বয় নির্বাচন কমিটি দ্বারা শারীরিক যোগ্যতা পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হয়ে থাকে। এইসব তথ্যগুলো যাচাই করার পরে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ছয় মাস মৌলিক ভাবে প্রথম অবস্থা প্রশিক্ষণ করতে হবে এবং সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে তাকে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ও প্রস্তুতি

১০০% এই বছরে প্রথমবারের মতো অনলাইনে আবেদন করার প্রতিক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফিকেশন ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইট Police.reletalk.com.bd নতুন কনস্টেবল নিয়োগের নিয়ম সম্পূর্ণভাবে বলা হয়েছে।

শেষ কথা

আশা করি পুলিশ কনস্টেবল পদে ২০২৩ আবার একইভাবে পরীক্ষা করে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণে যেতে পারেন এবং সবাই সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। উপরোক্ত আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হলে অবশ্যই আরো আর্টিকেল পড়তে আসবেন। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url