মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি - ফ্রি টাকা ইনকাম

আসসালামু আলাইকুম, আমাদের দেশে এখন অনেক তরুণ তরুণী আছে যারা নানা ধরনের পদ্ধতিতে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করছে। আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি এবং ফ্রী টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেব। যারা এখন পর্যন্ত মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না এবং ফ্রি টাকা ইনকাম করবেন কিভাবে সেটিও আপনি জানেন না তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য। আপনি আমাদের এই পোস্টটির মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
চলুন দেরি না করে জেনে নিন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি এবং সেই টাকা ইনকাম সম্পর্কে। আপনারা যারা নতুন এবং মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন তারা আমাদের মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি এবং ফ্রী টাকা ইনকাম এর সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পরুন।

সূচিপত্র

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম ভূমিকাঃ

বর্তমানে বাংলাদেশে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী ছেলেমেয়েগুলো বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন উপায়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করছে। আপনারা যারা নতুন এখনো হয়তোবা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে আপনার কোন রকম ধারণা নেই। কোন সমস্যা নেই আমরা তার জন্য আজকের এই পোস্টের আয়োজন করেছি। কেননা আমরা এই পোস্টটিতে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

আপনারা যারা নতুন টাকা ইনকাম করতে যাচ্ছেন তারা আমাদের এই পোস্টটি করলে আপনার সম্পূর্ণ তথ্যের উত্তর পেয়ে যাবেন। আমাদের দেশে এখন অনলাইনে ইনকামের চাহিদা বেড়ে চলেছে। আপনারা যারা নতুন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি খুঁজছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিঃ

বর্তমান বিশ্বে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি অনেক রয়েছে। এর জন্য শুধু একটি ভালো মানের স্মার্টফোন প্রয়োজন হবে। এখন বাংলাদেশে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অত্যন্ত সহজ হয়ে গেছে। এর জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি ছেলে মেয়ে এখন হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করছে। 

আপনারাও যারা নতুন এবং টাকা ইনকাম করার চিন্তাভাবনা করছেন তারা আমাদের এই পোস্টটিতে আলোচিত বিষয় মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে টাকা ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি নিম্নে দেওয়া হলঃ

  • ইউটিউব ভিডিও করে ইনকাম
  • ব্লগিং করে ইনকাম
  • ফেসবুক ই-কমার্স থেকে ইনকাম
  • বিকাশ অ্যাপ থেকে ইনকাম

চলুন আমরা জেনে নেই উপরোক্ত উপায় গুলো দিয়ে আপনি কিভাবে মোবাইল দিয়ে দৈনন্দিন হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার পদ্ধতি জানার জন্য এবং ফ্রি টাকা ইনকাম করার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

ইউটিউব ভিডিও করে ইনকামঃ

বর্তমান বিশ্বে ইউটিউবে এখন সকল ধরনের ভিডিওর চাহিদা বেড়ে চলেছে। আপনি হয়তো ভাবছেন কিভাবে এবং কোন ধরনের ভিডিও ইউটিউবে ছাড়বো। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি আপনার চাহিদা মতো এবং আপনার ভেতরে যেসব ট্যালেন্টগুলো লুকিয়ে আছে সেগুলো দিয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। পরবর্তীতে ভিডিওগুলো এডিটিং করে ইউটিউবে একাউন্ট খুলে তা আপনি প্রতিদিন ছাড়তে পারবেন। ইউটিউবে যখন আপনার ভিউ বাড়বে এবং আপনাকে সবাই সাপোর্ট করা শুরু করবে তখন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 

কিন্তু আপনাকে প্রথমে আপনার চ্যানেলে গুগলে এডসেন্স সংযুক্ত করতে হবে। গুগলে আর্টসেন্স সংযুক্ত করার পর আপনি আপনার youtube চ্যানেলটি মনিটাইজেশন করতে পারবেন। মূলত আপনি এই মনিটাইজেশনের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই সমস্ত ভিডিও বানাতে আপনার কোন ধরনের ক্যামেরা বা অন্যান্য যন্ত্রাংশের প্রয়োজন পড়বে না। কেবলমাত্র আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে আপনি আপনার ভিডিও তৈরি করতে পারবেন এবং মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খুলে তা আপনি নিজের মতন করে মনিটাইজেশন করতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে youtube এর কিছু শর্ত মেনে আপনাকে টাকা ইনকাম করতে হবে। একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য চ্যানেলে সর্বশেষ ৩৬৫ দিনে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে এবং আপনার চ্যানেলে মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকা লাগবে। তাহলে আপনি আপনার চ্যানেলটি সঠিকভাবে মনিটাইজ করে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করে ইনকামঃ

আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত অনলাইন ইনকামের চাহিদা বেড়েই চলেছে। বর্তমান বিশ্বে আর্টিকেল লেখার চাহিদাও অনেক বেড়ে চলেছে। এর জন্য আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে খুব সহজেই ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। ব্লগিং শুরু করার পর আপনি গুগল থেকে এডসেন্স অনুমোদন করলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। ব্লগিং বা আর্টিকেল লিখে যদি আপনি ইনকাম করতে চান তাহলে একটি সম্পূর্ণ নিয়মে ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার ওয়েবসাইট আপনাকে তৈরি করে নিতে হবে বা আপনি চাইলে অন্যান্য যেগুলো আইটি কোম্পানিগুলো আছে সেখান থেকেও নিজের মত করে বানিয়ে নিতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ Frb Info.com

এরপর সেই ওয়েবসাইটটিতে আপনি আপনার মন মত আর্টিকেল লিখে এবং কোন ধরনের কপিরাইট ছাড়া সম্পূর্ণ নিজের ভাষায় লিখে তা আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ছাড়ুন। প্রতিদিন আপনাকে তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লিখতে হবে যাতে করে গুগল যেন আপনার আর্টিকেল দেখে ভালো এবং ইউনিক মনে করে। উপরোক্ত  সমস্ত প্রসেস গুলো সঠিক নিয়মে থাকলে আপনি আপনার একাউন্টের জন্য এডসেন্স এর আবেদন করুন। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি গুগল থেকে এডসেন্স এপ্রুভেল হয়ে যায় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল তারপর থেকে এড দেখানো শুরু করবে।

এই অ্যাড দেখানোর জন্য গুগল কর্তৃপক্ষ আপনাকে বেশ কিছু অর্থ প্রদান করবে। যেটির পরিমাণ google মোট এডের মূল্যের 60 থেকে 70 পার্সেন্ট আপনাকে পেমেন্ট করে থাকবে। তাছাড়াও ব্লগে ইন স্পন্সার এবং এফিলিয়েট এর মাধ্যমে ইনকাম করার অত্যন্ত সুযোগ রয়েছে। ব্লগিং করে ইনকাম করতে হলে আপনাকে প্রথমে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে তা না হলে আপনার পেজের কোন মূল্য থাকবে না। উপরোক্ত আর্টিকেল এর আলোচনার মাধ্যমে আপনি আপনার ইনকাম এখনই শুরু করে দিতে পারবেন।

ফেসবুক ই-কমার্স থেকে ইনকামঃ

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফেসবুক ই-কমার্স থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম ফেসবুক ই-কমার্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। ফেসবুকে ই-কমার্স হলো ঘরে বসে যে কোন ধরনের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা এবং আপনার মন মত ব্যবসা পরিচালনা করাকে মূলত ফেসবুক ই-কমার্স বলা হয়। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে ফেসবুক ই-কমার্স একটি টাকা ইনকাম করার সহজ মাধ্যম।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার ঘরে বসেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবেন। এই ফেসবুক ই-কমার্স এর মাধ্যমে আপনি আপনার ইউনিক পণ্যগুলো ফেসবুক ইউজারদের কাছে সেল দিতে পারবেন। আপনি যদি ফেসবুক ই-কমার্স দিয়ে ইনকাম করতে চান তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ ফেসবুক ইউজার প্রত্যেক জনই আপনার পণ্যের কাস্টমার হয়ে যেতে পারবে।

ফেসবুক ই কমার্স থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে শুধু কিছু প্রোডাক্ট কেনার জন্য। প্রোডাক্ট কেনা হয়ে গেলে আপনি আপনার ফেসবুকের ক্যাটালগে প্রোডাক্টের ছবি সংযুক্ত করে দিবেন। পরবর্তী ধাপে আপনার পণ্যগুলো যে সকল জায়গাগুলোতে সাপ্লাই দিতে পারবেন সেই সকল জায়গার নাম গুলো সিলেট করে একটি গ্রুপ/পেজ খুলে নিতে হবে।

এরপর ফেসবুকে যারা ইউজার আছে তাদের চোখে যদি আপনার পণ্য গুলো ইউনিক এবং অনেক ভালো মনে হয় তাহলে আপনাকে অর্ডার করতে থাকবে। আপনার পণ্য গুলো যদি ভালো মানের হয় তাহলে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে আপনার বেশি দিন সময় লাগবে না। এইভাবে আপনি আপনার ফেসবুক ই-কমার্স থেকে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন।

বিকাশ অ্যাপস থেকে ইনকামঃ

আমাদের দেশের সকল মানুষের জানি বিকাশ একটি লেনদেনের বিশাল বড় মাধ্যম। কিন্তু অনেকে জানে না এই বিকাশ অ্যাপ থেকে কিভাবে ইনকাম করতে হয়। আবার অনেকেই জানে না বিকাশ অ্যাপস থেকে ইনকাম হয়। তাহলে চলুন সেই ক্ষেত্রে আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে আপনারা বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন। বিকাশ অ্যাপ থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলঃ

আরো পড়ুনঃ জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন - অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে বিকাশ অ্যাপস প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন। এরপর আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট বিকাশ অ্যাপসে লগইন করুন। বিকাশ এপসের ভেতরে প্রবেশ করে ডান দিকে থাকা লোগোটিতে ক্লিক করুন। এরপর রেফার অপশনে গিয়ে রেফার লিংকটি কপি করে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া যেসব বন্ধুরা আছে তাদের কাছে শেয়ার করে দিন। শেয়ার করা করা লিঙ্কে প্রবেশ করে কেউ যদি বিকাশ অ্যাপস ডাউনলোড করে তাহলে আপনি আপনার ওই লিংকটির জন্য বিকাশ কোম্পানি থেকে তাৎক্ষণিক ২৫ টাকা পেয়ে যাবেন। 

এভাবে প্রতিটি রেফারের জন্য আপনাকে বিকাশ কোম্পানি থেকে ২৫ টাকা করে দেওয়া হবে। আপনি যদি ঘরে বসে থেকে রেফার করতে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি এবং ফ্রি টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যারা নতুন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কথা চিন্তা করছেন তারা অবশ্যই আমাদের মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি এবং ফ্রী টাকা ইনকাম করার পোস্টটি করবেন। আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url