জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন - অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যাদের মাঝে মাঝে হঠাৎ করে লোনের প্রয়োজন পড়ে। আমরা আজকের এই পোস্টে মাধ্যমে জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন এবং অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন বা অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান পোস্টটি তাদের জন্য।
চলুন দেরি না করে কিভাবে জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন বা অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। নিচে জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন বা অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে দেওয়া হলো।

সূচিপত্র

জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন ভূমিকাঃ

আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যাদের পারিবারিক অবস্থা তেমন ভালো থাকে না। তাদের জন্য আমাদের দেশে অনেক ধরনের এনজিও লোন এর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এই এনজিও গুলোতে লোন পাওয়ার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। সেই চিন্তা মাথায় রেখে যেন কম সময়ে গ্রাহকরা লোন নিতে পারে তার জন্য বাংলাদেশের অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠান জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন এর ব্যবস্থা করে রেখেছে। 

আরো পরুনঃ কৃষি ব্যাংক অনলাইন - কৃষি ব্যাংক সুযোগ সুবিধা

এখনকার সময়ে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য অনেক ধরনের কাগজ পত্রের প্রয়োজন পড়ে এবং এই কাগজ পাতি দেওয়ার পর লোন দেওয়ার প্রক্রিয়াটি অনেক সময় লেগে যায় যার ফলে আপনার প্রয়োজন মত আপনি ইমারজেন্সি লোন নিতে পারেন না। কিন্তু অপরদিকে আপনি জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন নিতে পারবেন বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে।

আজকের এই পোস্টটি মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো এবং আলোচনা করব।কিভাবে আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন পাবেন এবং অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে।

জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন পাওয়ার মাধ্যম গুলোঃ

আমাদের দেশে বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাংকের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে বিশেষ করে হারের দিক দিয়ে অনেক বেশি। এর পাশাপাশি অনেক ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনলাইনের মাধ্যমে লোনের সেবা দিয়ে থাকে। ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন গ্রাহকদের কাছে প্রদান করে থাকে। 

আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানাবো যারা জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন প্রদান করে থাকে। এবং মানুষের বিপদে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠান গুলো হলঃ

  • ঢাকা ব্যাংক
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক
  • বিকাশ
  • সিটি ব্যাংক
  • ব্রাক ব্যাংক
  • প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড

উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বারা আপনি আপনার প্রয়োজন মত জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন নিতে পারবেন। কিন্তু তাদের শর্ত মতে সময়মতো তাদের দেওয়া ঋণ গুলো ফেরত দিতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ খারাপ সময়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলো গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াই। তারাই প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়ে অল্প পরিমাণে জামানত নিয়ে ঋণ প্রদান করে থাকে। 

আবার কিছু কিছু ব্যাংক আছে যারা জামানা ছাড়াই অনলাইন লোন দিয়ে থাকে। তাই বলা যায় উপরোক্ত ব্যাংক গুলোর মাধ্যমে আপনি জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন সেবা নিতে পারবেন। আমরা এখন আপনাদের জানাবো উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে আপনি কিভাবে জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন নিতে পারবেন।

ঢাকা ব্যাংক থেকে ঋণের আবেদন

ঢাকা ব্যাংক এই প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো কর্ম জীবীদের জন্য বিশেষভাবে জড়িয়ে মুহূর্ত অনলাইন লোন এর সেবা নিয়ে এসেছে। ঢাকা ব্যাংক এই প্রতিষ্ঠানটি কোন রকম কাগজ পত্রের ঝামেলা ছাড়াই গ্রাহকের তথ্য যাচাই করে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয় জোরে মুহূর্তে অনলাইন লোন এর টাকা।

আরো পরুনঃ সেনাবাহিনীর সার্কুলার ২০২৩ - সেনাবাহিনী নিয়োগ 2023

ঢাকা ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ই-ঋণ অনলাইন লোন ব্যবস্থা শুরু করেছে। e-loan অ্যাপের মাধ্যমে জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ঢাকা ব্যাংক।

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋলণের আবেদন

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটে আসার পর কর্মসংস্থান ব্যাংকের ফর্মে চলে আসতে হবে। এরপরে ঋণ নেওয়ার জন্য যা যা করবেন তা নিচে দেওয়া হলঃ
  • সর্বপ্রথম আপনাকে এই ওয়েবসাইটের ফর্মে এসে প্রজেক্ট এরিয়া সিলেক্ট করতে হবে।
  • এরপর আপনার নাম।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার।
  • আপনার মোবাইল নাম্বার।
  • বাবা-মায়ের নাম।
  • স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা।
  • গ্যারান্টের নাম।
  • জন্ম তারিখ।
  • সর্বশেষে আপনার প্রজেক্টের নাম এবং প্রজেক্ট টাইপ সিলেক্ট করতে হবে।
উপরোক্ত তথ্য গুলো দেওয়া হয়ে গেলে সাবমিট অপশনে ক্লিক করতে হবে এরপর ফরমটি জমা দিয়ে দিতে হবে। উপরোক্ত তথ্যগুলো যাচাই করার পর আপনার ব্যাংক একাউন্টে আপনি যত পরিমান টাকা ঋণ নিবেন তত পরিমাণ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বিকাশ থেকে ঋণের আবেদন

পুরো বাংলাদেশের মধ্যে বিকাশ হল একটি অনেক বড় ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান। বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি টাকা পয়সার লেনদেন হয় এই বিকাশ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যম থেকে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বিশেষভাবে অনলাইনে ঋণ এর সেবা দিয়ে থাকে। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি বিকাশ প্রতিষ্ঠানের রেগুলার ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা খুব সহজেই বিকাশ থেকে জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন নিতে পারবেন।

আপনারা কিভাবে বিকাশ থেকে অনলাইন লোন নিতে পারবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলঃ
  • আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকে লগইন করার পর মোর অপশনে গিয়ে লোনে ক্লিক করুন।
  • আপনার তথ্যগুলো দেয়ার জন্য অনুমতি প্রদান করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
  • এরপর টেক লোন এ ক্লিক করে পরের ধাপে লোনের পরিমাণ এবং আপনার কিস্তির মেয়াদ নির্বাচন করে পরবর্তী ধাপে যান।
  • আপনি বিকাশ থেকে কত টাকা লোন পেতে পারেন এবং কত টাকা আপনাকে শোধ করতে হবে তা দেখে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
  • লোন সম্পর্কে তাদের দেওয়া নির্দেশনাবলী গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং পরবর্তী ধাপে যান।
  • আপনার লোন নিশ্চিত করার জন্য আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার দিন এবং বিকাশের উপর ট্যাপ করে ঋণের জন্য রিকোয়েস্ট সম্পন্ন করুন।
উপরোক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে থেকেই জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন নিতে পারবেন বিকাশ থেকে। জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে কোথাও ছোটাছুটি করতে হবে না। কারণ বিকাশ এখন আমাদের মাঝে অনলাইন লোনের সেবা দিয়ে আসছে।

সিটি ব্যাংক থেকে ঋণের আবেদন

আমাদের দেশে সকল ব্যবসায়ীরা জানি একটি ব্যবসা অনেক বড় করে তুলতে পার্টনারশিপে কাজ করতে হয়। কারণ একটি ব্যবসা একজনের দ্বারায় কখনো অনেক বড় করা যায় না এবং নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ব্যবসা বড় করার জন্য পার্টনারশিপে কাজ করলে ব্যবসা অনেক তাড়াতাড়ি বড় হয় এবং সফলতা অর্জন করা যায়। এর জন্য সিটি ব্যাংক এবং বিকাশ দুজনের পার্টনারশিপে গিয়ে বিকাশে লোনের ব্যবস্থা চালু করেছেন। আর এই সিটি ব্যাংক রয়েছে বিকাশের সাথে পার্টনারশিপে।

আরো পরুনঃ বাংলাদেশ ট্রাফিক পুলিশ সার্কুলার 2023 - বাংলাদেশ ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ ২০২৩

এর জন্য আপনারা যদি সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার চিন্তাভাবনা করেন তাহলে তা বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হবে। বিকাশ থেকে লোন নিলে আপনার সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হবে।

প্রাইম ব্যাংক থেকে ঋণের আবেদন

প্রাইম ব্যাংক থেকে ঋণের আবেদন করতে হলে নিম্নোক্ত কাজগুলো আপনাকে করতে হবেঃ
  • যে ব্যাক্তি প্রাইম ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চায় সেই ব্যক্তির বয়স সর্বনিম্ন ২৫ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • প্রাইম ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য একজন পার্সোনাল গ্যারান্টার এর প্রয়োজন হবে।
  • লোন নেওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র
  • পাসপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা অন্য যেকোন রকমের তথ্যের প্রয়োজন হবে।
  • ইউটিলিটি বিল পরিশোধের ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে
  • লোন নেওয়ার জন্য যে ব্যাক্তি গ্যারানটার হবে তার বিজনেস কার্ড এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে
  • প্রাইম ব্যাংক থেকে যে ব্যাক্তি লোন নিতে চাই সে ব্যক্তির ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং গ্যারান্টার এর ব্যক্তির জন্য ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন পড়বে।
উপরোক্ত তথ্যগুলো প্রদান করলে আপনি প্রাইম ব্যাংক থেকে অনেক সহজেই লোন পেয়ে যাবেন। এছাড়াও প্রাইম ব্যাংকে আপনার জন্য পার্সোনাল লোনের সুব্যবস্থা রয়েছে। যার ফলে আপনার নিজের পার্সোনাল কাজের জন্য আপনি সেখান থেকে পার্সোনাল লোনের আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইন লোনের আবেদনের নিয়ম

বর্তমান বাংলাদেশের প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থাকার পাশাপাশি গ্রাহকদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রতিটা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী অ্যাপস। এর জন্য গ্রাহকদের সুবিধার ক্ষেত্রে গ্রাহকরা নিজের মোবাইল দিয়ে অ্যাপস ব্যবহার করে জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন এর আবেদন করতে পারবে। আবেদন করার জন্য প্রতিটা প্রতিষ্ঠান অ্যাপস এর মধ্যে সহজে এবং সুব্যবস্থা করে রেখেছে যাতে কোনরকম বুঝতে অসুবিধা না হয়। আপনারা আপনাদের চাহিদা মত অনলাইন লোন নিতে পারবেন।

শেষ কথাঃঅনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানার চেষ্টা করেছি জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন এবং অনলাইন লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। আশা করি আপনারা সকলেই অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। চাইলেও আপনারা জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন নিতে পারবেন উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। আমাদের এই পোস্টটি পাওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url