কোরবানির ঈদ ২০২৩ - কোরবানির করনীয়

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো সকলেই জানেন ইতিমধ্যে আমাদের রোজার ঈদ পার হয়ে সামনে আমাদের কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা হয়তো অনেকেই কোরবানির ঈদ ২০২৩ কবে অনুষ্ঠিত হবে তা সঠিকভাবে জানেন না। আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কোরবানির ঈদ ২০২৩ এবং কোরবানির করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
চলুন তাহলে দেরি না করে আমরা পবিত্র কোরবানির ঈদ ২০২৩ এবং কোরবানির করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

সূচিপত্র

কোরবানি কাকে বলে এবং কোরআনের আয়াত

পবিত্র কোরবানির দিনে নির্দিষ্ট সময়ে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু জবেহ করা কে কোরবানি বলে। আমরা যারা মুসলিম পরিবারে বসবাস করি কোরবানির ঈদ কি তা আমরা সবাই জানি। এবং কোরবানির ইতিহাস সম্পর্কেও আমরা সকলেই জানি। আবার অনেকেই আছি যারা কোরবানির ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা নিম্নে কোরবানির ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু আর্টিকেল দেওয়া হল।

আমাদের হযরত ইব্রাহিম আঃ ছিলেন আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত একজন সুপথ নির্দেশনকারী নবী। আল্লাহ তাআলা হযরত ইব্রাহিম আঃ এর ওপর একটি গুরুতর ভয়াবহ পরীক্ষা ছুড়ে দিয়েছিলেন। যা হযরত ইব্রাহিম আঃ কখনো কল্পনা করতে পারেননি। হযরত ইব্রাহিম আঃ কে তার স্বপ্নে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল আঃ কে কোরবানি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি স্বপ্নকে বেশি কিছু না ভেবে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রথমে দশটি উট কোরবানি দেয়।

আরো পড়ুনঃ নামাজ ভঙ্গের কারণ ও অজু ভঙ্গের কারণ জেনে নিন 

উট কোরবানি দেওয়ার পরে হযরত ইব্রাহিম আঃ রাতে পুনরায় একই স্বপ্ন দেখেন অতঃপর হযরত ইব্রাহি আঃ পরবর্তীতে আরো ১০০ টি উট কোরবানি দিলেন। ১০০ টি উট কোরবানি দেওয়ার পরেও তিনি একই স্বপ্ন পুনরায় দেখলেন। তবে আল্লাহ তা'আলা হযরত ইব্রাহিম আঃ কে বারবার তার প্রিয় জিনিসকে কোরবানি দেওয়ার কথা বলছিল। এরপর তিনি ভাবলেন আমার আমার প্রিয় পুত্র ইসমাইল আঃ ছাড়া আর কোন প্রিয় বস্তু কোরবানি দেওয়ার মত নাই। হযরত ইব্রাহিম আঃ তার প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল আঃ কে বিষয়টি সম্পূর্ণ জানাই।

এবং হযরত ইসমাইল আঃ হাসি মনে তা কবুল করে নেয়। হযরত ইব্রাহিম আঃ পুত্রের প্রতি সকল মায়া মমতা ত্যাগ করে আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে প্রিয় ইসমাইলকে কোরবানি দেওয়ার জন্য আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে স্থলগামী হয়। আরাফাতের ময়দানে পৌঁছে আরাফাতের চূড়ায় আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে প্রিয় ইসমাইলকে কোরবানি করার উদ্দেশ্যে ইসমাইলের গলায় একটি  ছুরি ধরেন ইব্রাহিম আঃ।

আল্লাহতালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যখন ইব্রাহিম আঃ প্রিয় পুত্র ইসমাইল আঃ এর গলায় ছুরি চালাবেন তাৎক্ষণাৎ হযরত ইসমাইল আঃ এর পরিবর্তে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। সেই পবিত্র ঘটনার পর থেকে আমাদের প্রিয় ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যার যতটুকু সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দিয়ে থাকে।

হযরত ইব্রাহিম আঃ এর ওপর দেওয়া পরীক্ষাটি সফলভাবে উত্তীর্ণ লাভ করে। এই ঘটনাটি আমাদের ইসলামী সমাজে এখনো বিরাজমান রয়েছে। আশা করি আপনারা সকলেই উপরোক্ত ঘটনাটি সংক্ষেপে বুঝতে পেরেছেন।

কোরআনের আয়াতঃ

হযরত উবাই ইবনে কাব রাঃ বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ একদিন আবুল মঞ্জির কে লক্ষ্য করে বলেন, হে আবুল মঞ্জির আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াত তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আবুল মঞ্জির বলেন, এ বিষয়ে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল সর্বাধিক অবগত। হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার বলেন, হে আবুল মঞ্জির আল্লাহর কিতাব এর কোন আয়াত তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? তখন আমি বললাম, আয়াতুল কুরসি আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এ কথা শুনে তিনি আমার বুকের ওপর হাত রেখে বলেন, হে আবুল মঞ্জির তোমার জ্ঞানকে স্বাগতম। (সহিহ মুসলিম: 1770)। তাহলে পরিশেষে বলা যায় আয়াতুল কুরসি কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়াত।

কোরবানির ঈদ ২০২৩ কবে

প্রিয় পাঠক আমরা উপুক্ত আলোচনার মাধ্যমে কোরবানি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যে আপনারা হয়তো কোরবানির ইতিহাস সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন এবার জানাজাক কোরবানির ঈদ ২০২৩ কবে অনুষ্ঠিত হবে সেই সম্পর্কে। নিম্নে কোরবানির ঈদ ২০২৩ কবে তা বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

আমরা সকলেই মুসলিম ঘরের সন্তান। আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি রোজার ঈদ শেষ হওয়ার পর কোরবানির ঈদ কত তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী পবিত্র কোরবানির ঈদ মূলত জিলহজ মাসে অর্থাৎ জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পবিত্র কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৮ তারিখ অর্থাৎ ২৮ জুন জিলহজ মাসের ১০ তারিখ দেখা যায়। সেই ক্ষেত্রে যদি ২৮ তারিখে অর্থাৎ ২৮ জুন পবিত্র ঈদুল আযহার আকাশে চাঁদ দেখা যায় তাহলে ২৯ জুন পবিত্র কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে।

কোরবানি করার দোয়া

আমাদের সমাজের অনেক মুসলমান আছে যারা কোরবানি করার দোয়া সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। কোরবানি করার দোয়া সম্পর্কে না জেনেই পবিত্র ঈদের দিন কোরবানি করে দেয়। এতে ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর জন্য আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কোরবানি করার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। কোরবানির ঈদ ২০২৩ এবং কোরবানি করার দোয়া সম্পর্কে নীচে বিস্তারিত দেওয়া হল।

উচ্চারণঃ “ইন্নিহ ওযাঝঝিয়াতু ওয়াঝ হিয়া লিল্লাহি ফাতারাস সামাওতি ওয়াল আরদা, আলা মিল্লাতি ইব্রাহিমা হানিফা ওয়া মাআনা মিনাল মুশ্রিকিন। ইন্নাহ সালাতি ওআ নুসুকি ওয়াহ মাহইয়া ওয়া মামাতি রিল্লাহি রব্বুল আলামিন। লা শারিকালাহু ওয়া বিজালিকা উম্রিতু ওয়া আনা মিনাল মুস্লিমিন। বিসমিল্লাহই আল্লাহহু আকবার, আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালিক”।

আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম - তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত বিস্তারিত জানুন

অর্থঃ ‘নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশফিকদের অন্তর্গত নয়। নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তার কোন শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি আত্মসমর্পণ কারীদের একজন। হে আল্লাহ! তোমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য। আল্লাহর নামে, আল্লাহ সবচেয়ে মহান’।

অতএব আপনারা যারা পশু কোরবানি দেন তারা সকলেই উপরোক্ত দোয়াটি পড়ে পশু কোরবানি দিতে পারবেন। আপনারা কেউ যদি উপরোক্ত দোয়াটি পড়ে অর্থাৎ কোরবানির দোয়া না পড়ে কোরবানি দেন তাহলে কুরবানীর পশুটি কোরবানি হিসেবে আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন না বা গণ্য হবে না। এর জন্য আপনারা সকলেই নিয়ম মেনে কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

কোরবানি দেওয়ার নিয়ম

আমরা আপনাদের উপরোক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে কোরবানির দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। এবার আমরা আপনাদের কোরবানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন কোরবানির ঈদ ২০২৩ আর কিছুদিনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য কোরবানির করণীয় সম্পর্কে সকলেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। নিম্নে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হল।

  • কোরবানি দেওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহ তায়ালার নাম নিয়ে পশু কোরবানি দিতে হবে। আল্লাহতালার নাম ছাড়া যেন অন্য কোন নাম মুখে না আসে সেই দিকে সম্পূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে।
  • পশু কোরবানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পশু জবেহ করার সময় খাদ্যনালী, শ্বাসনালীর, দুই পাশে থাকা দুই নালী কেটে দিতে হবে। দুইটি নালী কাটা হয়ে গেলে জবেহ করা সম্পন্ন হবে।
  • কুরবানির পশু কোরবানি দেওয়ার সময় একটু পশুর সামনে যেন আরেকটি পশুর কোরবানি না দেয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • পশু কোরবানি দেওয়ার সময় পশুর সামনে ছুড়ি ধার দেওয়া যাবে না। তবে মনে রাখতে হবে পশু কোরবানি দেওয়ার আগে ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নিতে হবে। কেননা হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন কোরবানি দেওয়ার আগে ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নিতে হবে।
  • কোরবানি দেওয়ার সময় পশুকে বাম কাতে সোয়াতে হবে এবং পা গুলো পশ্চিম দিকে রাখতে হবে।
  • অতঃপর কোরবানির দোয়া শুদ্ধভাবে এবং সঠিকভাবে পড়তে হবে। তবে মনে রাখতে হবে পশুকে শোয়ানোর পর কোরবানি দেওয়ার দোয়া পড়তে হবে।
  • পশু কোরবানি দেওয়ার সময় যদি বড় দোয়াটি কেউ করতে না পারে তাহলে- “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা মীনকা ওয়া লাকা” এই ছোট্ট দোয়াটি পড়েও কোরবানি দেওয়া যাবে।
  • আপনারা যদি নিজের পশু নিজে কোরবানি দিতে চান তাহল- “আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল্লাহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবি কা মোহাম্মাদিও ওয়া খালিলিকা ইব্রাহি “। এই দোয়াটি পড়বেন।
  • পরিশেষে অন্য কারো কোরবানি করলে- “আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল্লাহু মিনকা মিনকুম কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মোহাম্মদিও ওয়া খালিলিকা ইব্রাহিম”। এই দোয়াটি পড়তে হবে।

উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী কোরবানির ঈদ ২০২৩ এ কোরবানি দিতে হবে। উপরোক্ত নিয়মগুলো সম্পন্ন ভাবে মেনে চললে আপনার কোরবানি সম্পন্ন হবে এবং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য এবং সন্তুষ্ট লাভ করা যাবে।

কোরবানির পর কোরবানির গোশত বন্টন করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদের কোরবানির করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা অনেকেই আছি যারা কোরবানি দেয়ার পর কোরবানির গোশত বন্টন করা তেমনভাবে জানিনা। তাই আমরা এ আর্টিকেলের মাধ্যমে কোরবানির পর কোরবানির গোশত বন্টন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে গোস্ত বন্টন করার নিয়ম এবং কোরবানির ঈদ ২০২৩ দেওয়া হল।

কোরবানি দেওয়ার পর গোশত বন্টন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। কোরবানি দেওয়ার পর কোরবানির গোশত যদি সম্পূর্ণ সঠিক নিয়মে বন্টন না করা হয় তাহলে কোরবানি আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না। গোস্ত ভালোভাবে বন্টন না করতে পারলে কোরবানির শর্ত ভঙ্গন করা হবে। তার জন্য পশু কোরবানি দেওয়ার পর কোরবানির গোশত সঠিকভাবে বন্টন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে। কুরবানীর মাংস তিন ভাগে ভাগ করতে হয়। অতএব এক ভাগ গরিব দুঃখীদের জন্য, একভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য এবং একভাগ নিজেদের জন্য রাখতে হয়।

আরো পড়ুনঃ আল্লাহর ৯৯ টি নামের তালিকা - আল্লাহর ৯৯ টি নাম বাংলা অর্থ সহ 

তার জন্য কোরবানির পশু কেনার সময় পশু স্বাস্থ্যবান হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং পশুর শরীরে যেন কোন ধরনের রোগ না থাকে সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে গরিব দুখী এবং আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কোরবানির গোশত বন্টন করার সময় যদি কিছু গোশত বেঁচে যাই তাহলে নিজেদের জন্য রেখে দেওয়া যাবে না সেই গোস্তগুলো আবার তাদের মধ্যে সঠিক নিয়মে বন্টন করে দিতে হবে। অতএব বলা যায় কোরবানি দেওয়ার পর কোরবানির গোশত তিন ভাগে সঠিক নিয়মে বন্টন করতে হবে।

শেষ কথাঃ কোরবানির করনীয়

প্রিয় পাঠক আশা করি আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে কোরবানির ঈদ ২০২৩ এবং কোরবানির নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমরা যারা মুসলমান ভাই বোন আছি তারা অবশ্যই কোরবানি সকল নিয়ম মেনে কোরবানি করতে হবে এবং কোরবানির পশু কিনতে হবে। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের এই পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url