চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম - মুখে ই ক্যাপসুলের ব্যবহার

আসসালামু আলাইকুম, আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম এবং মুখে ই ক্যাপসুলের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন কিন্তু অনেকেই জানেন না কেমন করে ব্যবহার করতে হয়। এর জন্যই আমরা আজকের এই পোস্টটিতে চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রিয় পাঠক আপনাদের অনেকেরই চুল অল্প বয়সে পেকে যায় বা ঝরে পড়ে যায় এর জন্য ই ক্যাপসুল এর গুরুত্ব অপরিসীম। চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নেই চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম এবং মুখে ই ক্যাপসুলের ব্যবহার সম্পর্কে। 

সূচিপত্র

চুল পড়ার কারণ

আমরা প্রতিনিয়ত অনেকে আছি যারা চুলের সমস্যায় ভুগে থাকে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজিস্টদের মতে প্রতিদিন প্রায় ৯০ থেকে ১০০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক বিষয়। আবার কোন কোন সময় বেশি দুশ্চিন্তার কারণে এবং ঘুম না হলে অনেক বেশি পরিমাণ চুল পড়া শুরু হয়। যেটি একটি মানুষের জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়।

 আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা অপকারিতা - ভিটামিন ই জাতীয় খাবার

আবার বংশধরের কারণেও অনেক চুল পড়ে যায়। তাই আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। নিম্নে চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম এবং চুল পড়ার কারণ দেওয়া হলোঃ

  • অনেক মানুষ আছে যারা চুল সোজা করার জন্য বা স্ট্রিট করার জন্য চুলে তাপ দিয়ে থাকে। এই তাপ দেওয়ার কারণে চুলের কেরাটিনের ক্ষতি হয় যার ফলে চুল সহজে ঝরে পড়ে যায় বা ভেঙ্গে পড়ে যায়।
  • আপনারা অনেকেই আছেন যারা গোসল করার সময় চুলে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং গরম পানি ব্যবহার করে থাকেন। তবে চুলের জন্য বা চুলের ত্বকে এগুলো ব্যবহার করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। চুলে গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের আদ্রতা কমে যায় এতে চুলের ত্বকে তেল তৈরি হয় যার কারণে চুল পড়ার একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • আপনারা হয়তো অনেক সময় চুল অনেক শক্ত করে বেঁধে রাখেন যার কারণে চুলের ফলিক গুলো খুব গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে চুল পড়া সমস্যা হতে পারে। আবার কখনো কখনো তুলে ট্রাকশন এলোপেসিয়াও হতে পারে যার ফলে নতুন চুল গজাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর জন্য চুলের স্টাইল চেঞ্জ করতে হবে।
  • আমরা আবার বিভিন্ন সময়ে বেশি বেশি করে চুল আঁচড়ায়। এ বেশি বেশি চুল আচরণের কারণে চুল ছিড়ে যায় যার ফলে একসময় চুল পড়া সৃষ্টি হয়। এর জন্য চুল প্রতিদিন এক থেকে দুইবার আচড়াতে হবে।
  • বর্তমান সময়ে সবাই এখন কর্মব্যস্ত জীবনযাপন করে। এর ফলে দুশ্চিন্তার বা স্ট্রেস তৈরি হয়। স্ট্রেস বাড়লে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণও বেড়ে যায় এর ফলে প্রধান সৃষ্টি হয় এবং চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে।

পরিশেষে বলা যায় উপরোক্ত কারণগুলোর মাধ্যমে চুল পড়া সৃষ্টি হয়। তাই আপনাকে দৈনন্দিন জীবনের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। অর্থাৎ সেই পরিবর্তনের ফলেই আপনার চুল পড়া কমতে পারে। সব সময় নিজেকে নিয়মের মধ্যে সচেতন রাখতে হবে। এবং চুলের যত্ন নিতে হবে।

মুখে ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার

প্রিয় পাঠক আমরা অনেকে আছি যারা মুখের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেক ধরনের নাইট ক্রিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকি। তবুও মুখের কোন পরিবর্তন আসে না। এর জন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মুখেই ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আশা করি ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার ত্বক পরিবর্তনের সাহায্য করবে। নিম্নে তা দেওয়া হলোঃ

মুখে ভিটামিন ই স্কিন সিরাম
আপনারা যারা ড্রাই এবং নরমাল স্কিনের অধিকারী তারা একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে তার ভেতর থেকে তেল বের করে ত্বকে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে বসিয়ে দিন। আর যাদের তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী আছেন তারা হাতে এক ফোঁটা তেল নিয়ে দুই হাতে ঘষে নিয়ে পাঁচ সেকেন্ডের জন্য মুখে চাপ দিয়ে ধরে থাকুন। 

চাপ দিয়ে ধরে থাকার ফলে মুখে ভিটামিন ই তেল লেগে যাবে। হয়ে গেল আপনার মুখে ভিটামিন ই স্ক্রিন সিরাম লাগানো। এভাবে যদি প্রতিদিন আপনারা ভিটামিন ই ত্বকে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অন্য কোন নাইট ক্রিম এর প্রয়োজন হবে না। তবে এটি আপনারা অধিক মাত্রায় ব্যবহার করবেন না এতে ত্বক আরো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মুখে ভিটামিন ই নাইট ক্রিম
আপনারা হয়তো উপরোক্ত টিপসটি ব্যবহার করতে অনেকেই ভয় পাবেন কেননা ফেসিয়াল অয়েলটি এখনো আমাদের দেশে তেমন জনপ্রিয় না। এর জন্য আপনাকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটি নাইট ক্রিম বা বেবি ক্রিম নিয়ে নিতে হবে। এরপর এই ক্রিম এর মধ্যে ১ থেকে ২ টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিতে হবে। 

এরপর এই ক্রিম প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। এতে মুখে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ হবে। আবার আপনারা চাইলে বডি লোশনের সাথেও ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

কালো দাগ দূর করণে ভিটামিন ই
আমাদের শরীরে অনেক ধরনের কালো দাগ রয়েছে যেগুলো অন্যান্য ক্রিম ব্যবহার করেও দূর হয় না। এই কালো দাগ দূর করার জন্য আপনারা ১ টা ই ক্যাপসুল এর তেল যে স্থান কাল সেই স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনারা দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেখতে পাবেন।

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে ভিটামিন ই
আমাদের দেশে অনেকেই আছে যাদের চোখের নিচে ঘুম না হওয়ার কারণে কালো দাগ পড়ে যায়। এই কালো দাগ দূর করনের জন্য অনেকেই খাঁটি বাদামের তেল ব্যবহার করে থাকেন তবে আপনারা যদি বাদামে তেলের সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে চোখের নিচে ব্যবহার করেন তাহলে খুব অল্পদিনেই তা কালো দাগ উঠে যাবে।

গোলাপি এবং মসৃণ ঠোঁট পেতে ভিটামিন ই
হাত পায়ে এবং মুখে লাগানোর পরে যতটুকু ভিটামিন ই তেল বেঁচে যাবে ততটুকু তেল আপনার ঠোঁটে লাগিয়ে দিন। এতে ঠোঁটের ফাটা এবং ফাটা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। আবার আপনারা আপনাদের পছন্দের লিপবাম এবং ভেসলিনের সাথে ই ক্যাপসুলের তেল ব্যবহার করে রাতে ঠোঁটে লাগিয়ে থুয়ে দিন এতে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে এবং ঠোঁট মসৃণ করতে সাহায্য করবে।

ত্বকে ই ক্যাপসুলের পাঁচটি ব্যবহার

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে ত্বকে ই ক্যাপসুল এর পাঁচটি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম জানেন না তারা আমাদের সাথেই থাকুন কেননা নিম্নে চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে চলুন তার আগে ত্বকে ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিনঃ

মুখের দাগ দূর করতে ভিটামিন ই
আমাদের ত্বকে থাকা ভিটামিন-ই হলো এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের ভেতরের কোষের বিভিন্ন ধরনের ক্ষত সারানোর জন্য এবং ক্ষত সারানোর মধ্য দিয়ে যেকোনো কালো দাগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কালো দাগ দূর করনের সাথে ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে আনে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এই ভিটামিন ই।

হাতের যত্নে ভিটামিন ই
আমরা বাড়িতে আমাদের দুই হাত দিয়ে প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের কাজ করে থাকি তার মধ্যে আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের পাউডার দিয়ে কাপড় কাচতে এবং থালা-বাসন ধুতে থাকি। যার ফলে আমাদের হাতের আদ্রতা কমে যায় এবং সৌন্দর্য কমে যায়। এই সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 আরো পড়ুনঃ পেঁপে পাতার রস বানানোর নিয়ম - পেঁপে খাওয়ার ঔষধি গুণ

পুড়ে যাওয়া ত্বকের জন্য ভিটামিন ই
প্রচন্ড গরমের কারণে বাহিরে বের হলে আমাদের ত্বক রোদে পুড়ে যায়। এর ফলে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং বিভিন্ন ধরনের কালো দাগের সৃষ্টি হয়। পুড়ে যাওয়া তথ্যে বাঁচানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল। আপনারা বাড়িতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিনে সমপরিমাণ লেবুর রস নিয়ে তাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিস করে তোকে লাগাতে পারেন এর ফলে ত্বকের আদ্রতা বৃদ্ধি পায়। ফলে পড়ে যাওয়া ত্বক সৌন্দর্য হয়ে যায়।

বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ই
প্রতিদিন শুতে যাওয়ার সময় ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে তার ভেতর থেকে তেল বের করে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর সকালে উঠে ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে মুখের বলিরেখা দূর হয়ে যাবে।

চুলের যত্নে বা সৌন্দর্যে ভিটামিন ই
আপনারা অনেকেই আছেন যারা গোসল করার সময় চুলে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং গরম পানি ব্যবহার করে থাকেন। তবে চুলের জন্য বা চুলের ত্বকে এগুলো ব্যবহার করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। চুলে গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের আদ্রতা কমে যায় এতে চুলের ত্বকে তেল তৈরি হয় যার কারণে চুল পড়ার একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়।

আপনাদের অসময়ে মাথা থেকে যেন চুল না পড়ে এবং চুল যেন না তাকে সেই ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২ টা নিয়ে তার ভেতরে থাকা তেল বের করে নিতে হবে। এরপর দুই চামচ অলিভ অয়েল তেল বা নারিকেল তেল তার সঙ্গে মিশিয়ে স্কাল্পে লাগিয়ে ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে। এমন ভাবে নিয়মিত ম্যাসাজ এর ফলে চুল আগের থেকে ঘন এবং চুল পড়া বন্ধ হয়।

চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

প্রিয় পাঠক আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আপনাদের যাদের অকালে চুল ঝরে পড়ছে এবং চুল পেকে যাচ্ছে সেই সমস্যা দূর করতে আমাদের এই আর্টিকেলটি পুরোটি পড়ুন। নিম্নে চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম দেওয়া হলো ঃ

অ্যালোভেরা জেল এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
দুই টেবিল অ্যালোভেরা জেল এর সাথে দুটো ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে তার ভেতরে থাকা তেল জেলের সাথে ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিন। এই মিশ্রণটি আপনার চুলের গোড়াতে এবং চুলের ত্বকে ভালোভাবে লাগান এবং হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে থাকুন। মিশ্রণটি দেওয়ার পর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারবেন এতে চুল পাকা, চুল পড়া এবং চুলের গোড়া আগের থেকে অনেক মজবুত করে।

দই এবং মধুর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
একটি পরিষ্কার পাত্রে দুই চামচ দই এবং দুই চামচ মধু নিয়ে নিতে হবে। দইয়ের মিশ্রনের সাথে চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে তার ভেতরে তেল বের করে ভালোভাবে মিশ্রণ করে ফেলুন। এরপর ভালোভাবে চুলের গোড়া পর্যন্ত পুরো মাথায় লাগে ফেলুন। এরপর আধাঘন্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একটি আপনি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে চুল আগের থেকে সুন্দর এবং মসৃণ হবে।

বাদামে তেল এবং ডিম এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
একটি পরিষ্কার পাত্রে একটি ডিম ভেঙ্গে নিন। এরপরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল চারটি ভেঙ্গে তার ভেতরে তেল ডিমের সঙ্গে মিশ্রণ করে নিন। এরপর ডিম এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মিশ্রণের সাথে বাদামের তেল এক চামচ নিয়ে তা ভালোভাবে আবার মিশ্রণ করুন। এরপরে মাথার ত্বক এবং চুলের গোড়া থেকে শুরু করে সমস্ত চুলে এই প্যাকটি ভালোভাবে লাগাতে হবে। এরপর এক ঘন্টা রেখে দিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে আপনার চুল শক্ত এবং মজবুত হবে। দুই দিন ব্যবহার করতে পারবেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো 

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদের ই ক্যাপসুল কোনটা ভাল এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে তা দেওয়া হলঃ

ভিটামিন ই ক্যাপসুল বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির হয়ে থাকে। আমরা সকলেই জানি ভিটামিন ই ক্যাপসুল স্কয়ার কোম্পানির সবচেয়ে ভালো হয়ে থাকে। আপনারা চাইলে অন্যান্য কোম্পানির গুলো কিনে ব্যবহার করতে পারেন তবে আমার মতে স্কয়ার কোম্পানির ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করাটাই ভালো হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেয়েদের চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েরা যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে ব্যবহার করে তাহলে ভালো ধরনের ফলাফল পেয়ে থাকে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল শুধু চুলের জন্যই ভালো তা নয়।

 আরো পড়ুনঃ কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো - খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের রূপচর্চার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের আদ্রতা এবং সুস্থতা বজায় রাখে। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের কালো দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। আবার আমাদের ঠোঁট যদি কালো হয়ে থাকে তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারের ফলে কাল ঠোঁট গোলাপি এবং মসৃণ হয়ে যায়। এর জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে আপনারা সকলেই ভালো কোম্পানির ব্যবহার করবেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকমের কাজে লাগে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমরা বাহ্যিক ব্যবহারের পরেও অনেক জন আছে যারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেয়ে থাকি। ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনারা প্রতিদিন রাতে একটা করে সেবন করতে পারেন। এতে কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট নেই। বরং শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে। 

আপনার চুলে যদি পাথর থাকে তাহলে সেটি দূর করে চুল আগে থেকে মোটা এবং সতেজ করবে। এর পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর জন্য আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রতিদিন নিয়মিত রাতে শোবার আগে খেতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদের ভিটামিন ই ক্যাপসুল সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে দিয়েছি। এর পাশাপাশি চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম এবং মুখেই ক্যাপসুল এর ব্যবহার সম্পর্কে ও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। দাঁতের শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে তারাব ভিটামিন ই খেতে পারেন। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনার দৈনিক জীবনের ভিটামিনের চাহিদা এবং ভিটামিনের ব্যবহারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url