কিডনিতে পাথর হলে কি সমস্যা হয় - কিডনি ভালো রাখার খাদ্য
সূচিপত্রঃ কিডনিতে পাথর হলে কি সমস্যা হয়
কিডনিতে কি কারনে পাথর হয়
আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে এবং কিডনিতে পাথর কেন হয় সে কারণে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেছেন এবং করছেন। আপনার যদি প্রসাব অতিরিক্ত পরিমাণ ঘন হয় তাহলে ক্রিস্টাল বা পাথরের কণা তৈরি হওয়ার জন্য এরকম সমস্যা হয়ে থাকে। আপনার শরীরে যদি পানি সংকট দেখা দেয় তাহলে কিডনিতে বা অঙ্গে পাথরের সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনার শরীরে যদি পানির অভাব হয় বা সংকট দেখা দেয় একে বলে ডিহাইড্রেশন। ডিহাইড্রেশন কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়।
আরো পড়ুনঃ কিডনি পাথরের লক্ষণ - কিডনিতে পাথর হলে কি খাওয়া যাবে না
আপনি যদি প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ার মধ্যে কাজ করে থাকেন কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাচ্ছেন না তাহলে শরীরের পানি সংকট দেখা দিবে, এই সময় আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশনের এর কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। যেমন মরুভূমিতে বা অতিরিক্ত পরিমাণ যে দেশগুলোতে গরম হয় সেই দেশগুলোতে কিডনিতে পাথর হওয়ার রোগী অনেক দেখা যায়। এজন্য আপনি যদি প্রতি যে কোন ধরনের কাজ অতিরিক্ত গরমের মধ্যে করেন তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত কাজ করার মধ্য প্রতিনিয়ত পানি খেতে হবে।
যেন শরীরে ঘাম বের হলে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকে। আপনি যদি কম পানি খান তাহলে প্রস্রাবে সমস্যা দেখা দিবে এর ফলে শরীরে ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক ও প্রস্রাবে সাইট্রেট নামক সবকিছু কমে গেলে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। কিডনিতে পাথর হলে কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে জানব। আপনার শরীর আরো অনেক ধরনের উপাদান রয়েছে এগুলো উপাদানের জন্য আপনার আবার অতিরিক্ত পরিমাণ প্রস্রাব বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণ প্রসাব বেড়ে গেলে আপনার কিডনির সমস্যা দেখা দিবে এবং পাথর জমতে পারে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ
আপনার শরীরে অনেক সময় পাথর হলেও বোঝার কোন উপায় থাকে না। শরীরে মেরুদন্ডের প্রচণ্ড পরিমাণ ব্যথা হয় আপনার কোন অবহেলা বাদ দিয়ে এই ডাক্তারের কাছে প্রতিনিয়ত চেকআপ করাতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণ মেরুদন্ডের ব্যথা হলেও কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা থাকে। আপনার যদি কিডনিতে ব্যথা হয় তাহলে উপরের পেট অথবা তলপেট মৃদুভাবে অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যথা করবে। প্রসাব করার সময় প্রতিনিয়ত লাল রংয়ের প্রস্রাব বের হবে বা অনেক সময় প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হল প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ হওয়া। শুধু কিডনিতেই পাথর হয় এটা বলা যাবে না কারণ পাথর বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। কিডনির পাথর যদি আপনার মূত্রথলিতে প্রবেশ করে তাহলে পিটিয়ে মেরুদন্ড এবং পেটেও ব্যথা সৃষ্টি হয়। পরিমাণ জ্বর এবং বমি হতে থাকে। এরকম ধরনের সমস্যা হলে আপনার অতি দ্রুত ডাক্তারের কাছে সাক্ষাৎ করতে হবে না হলে মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকতে পারে।
আপনার জরুরিভাবে মূত্রথলি পাথর যদি বের না করেন তাহলে আপনার শিরার জন্য এন্টিবায়োটিক নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। এভাবে আপনি কিডনি পাথর হওয়ার লক্ষণ বুঝতে পারবেন এবং কিডনিতে পাথর হলে কি সমস্যা হয় তাও বুঝতে পারবেন।
পাথর হলে কিভাবে বুঝবেন
কিডনিতে পাথর হলে চিকিৎসা
কিডনিতে যদি পাথর হয় তাহলে পাথর চার মিলিলিটার বা এর থেকেও অনেক ছোট হয়। এত পরিমাণ ছোট হওয়ার কারণে অনেক সময় প্রস্রাব করার মাধ্যমে বের হয়ে যেতে পারে। এর জন্য চিকিৎসকরা অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণ পানি পান করতে বলে আবার চিকিৎসকরা ব্যথার জন্য ওষুধ দিয়ে থাকে। ১৪ দিন পর বা ২৮ দিন পর সিটি স্ক্যান ও এক্সরে করার মাধ্যমে চিকিৎসকরা বুঝতে পারে আপনার শরীরে কতটুকু পাথর বাইর হইছে বা প্রস্রাবের মাধ্যমে কতটুকু পাথর বাহির হয়েছে বোঝা যায়।
আরো পড়ুনঃ স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ - মোটা হওয়ার সবচেয়ে ভালো ঔষধ
শরীরের যেয়ে কিডনি ছাকনি রয়েছে এর মধ্যে যদি পাথর প্রবেশ করে থাকে তাহলে আপনি যখন প্রস্রাব করবেন পোস্ট অফিসের সাথে যদি সমান রক্তের মত কোন কিছু বাহির হয় তাহলে বুঝতে পারবেন কিডনির পাথর বের হচ্ছে। আবার অনেক সময় প্রস্রাব করার মধ্য দিয়ে যদি প্রস্রাবের বাধা তৈরি করে তাহলে আপনার অনেক ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।
কিডনির পাথর যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ছোট হয় তাহলে প্রস্রাব এর মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। আপনি কোন ধরনের অবহেলা না করে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। কিডনিতে পাথর হলে কি সমস্যা হয় এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কিডনিতে পাথর হলে প্রতিরোধ
আপনার অনেক ধরনের প্রিয় খাদ্য রয়েছে যে খাবারগুলো আপনার শরীরে কিডনির পাথর জমাতে পারে এগুলো খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে এবং শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ ঘাম হলে পানি পান করতে হবে। আপনার শরীরে পানি সংকট না থাকলে এবং খাদ্যবাস পরিবর্তন করলে কিডনিতে পাথর জমাট কোন ধরনের সম্ভাবনা থাকবে না। অতিরিক্ত গরমের মধ্যে কাজ করলে আপনার কাজের উপর নিশ্চিত হবে যে আপনার শরীরে কতটুকু পানির প্রয়োজন রয়েছে।
অতিরিক্ত পরিমাণ এসির মধ্যে থাকলেও পানির প্রয়োজন হবে আপনার শরীর যেন কোনভাবে শুষ্ক না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যদি আবার অতিরিক্ত পরিমাণের পানি পান করে থাকেন তাহলে আবার অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তাই অতিরিক্ত পরিমাণ কোন কিছুই ভালো না। আপনার প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় ২ লিটারের মত প্রস্তাব করতে হবে এইভাবে আপনার প্রতিদিন পানি পান করতে হবে। অনেক ধরনের সমস্যার কারণে প্রস্রাবের বাধা সৃষ্টি করে সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি যে খাবার খাবেন না কেন কাঁচা লবণ খাওয়া যাবেনা।
কিডনি ভালো রাখার খাদ্য
কিডনিতে পাথর হওয়ার এই রোগটি অনবরত প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। মানুষ পছন্দের খাবার খেতে গিয়ে রোগের সৃষ্টি করছে। আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি তাই আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখতে হবে এবং নিজেকেও সুস্থ থাকতে হবে সে খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে তাই চলুন নিম্নে জেনে নেই কিডনি ভালো রাখার জন্য কি কি খাদ্য রয়েছে। কিডনি ভালো রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো পেঁয়াজ। আপনি যদি প্রতিনিয়ত পে খাবার খান তাহলে অনেক প্রয়োজন রয়েছে কারণ পেঁয়াজের রয়েছে অনেক অ্যান্টিবায়োটিক যার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনিকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
পেয়াজে আরো রয়েছে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট যা খাদ্য হজমের সাহায্য করে। সবজি খাবারের মধ্যে রয়েছে বাঁধাক পি আপনি যদি প্রতিনিয়ত বাঁধাকপি খান তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে ও ফাইটো কেমিক্যাল প্রবেশ করবে যা কিডনিতে ভালো রাখার জন্য উপযুক্ত খাবার হলো বাঁধাকপি। আমি যদিও খাদ্যের মধ্যে হলো ডিম।
আরো পড়ুনঃ খিচুনি রোগের লক্ষণ - খিচুনি রোগের ঘড়োয়া চিকিৎসা
আপনি যদি প্রতিনিয়ত ডিমের সাদা অংশ খান তাহলে অনেক ধরনের উপকার পাবেন ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ করে। কিডনি ভালো রাখার জন্য আরো অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যেমন লেবু,আঙ্গুর, আপেল, ক্যাপসিকাম, কাঁচা রসুন সহ আরো অনেক ধরনের খাবার এগুলো আপনি প্রতিনিয়ত খাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url