ক্ষুদ্র ব্যবসার মেশিন - ক্ষুদ্র ব্যবসার 9 টি তালিকা সম্পর্কে জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা অনেক টাকা ইনভেস্ট করে সব ধরনের ব্যবসা করতে পারে না। এর জন্য আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে ব্যবসার মেশিন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার 9 টি তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। ক্ষুদ্র ব্যবসার মেশিন এখন বাংলাদেশে অনেক মানুষ ব্যবহার করে অনেক টাকা ইনকাম করছে। তাই আশা করি ব্যবসার মেশিন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার 9 টি তালিকা আপনার ব্যবসায়ী সফলতা এনে দিবে।
চলুন দেরি না করে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেই ক্ষুদ্র ব্যবসার মেশিন ও ক্ষুদ্র ব্যবসার 9 টি তালিকা সম্পর্কে। যারা ঘরে বসে অযথা সময় নষ্ট করেন তারা আমাদের এই পোস্টে আলোচিত ক্ষুদ্র ব্যবসার মেশিন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার 9 টি তালিকা নিশ্চয়ই আপনার সফলতা এনে দেবে।

সূচিপত্র

ক্ষুদ্র ব্যবসার মেশিনঃ

বর্তমান বাংলাদেশের অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা পড়ালেখা শেষ করে কোন চাকরি না পাওয়ায় বাড়িতে বসে সময় নষ্ট করছে। আপনি যদি সমস্ত সময় নষ্ট না করে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতি মনোযোগী হন তাহলে ভবিষ্যতে আপনিও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান বাংলাদেশে ক্ষুদ্র মানুষদের চিন্তা করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসার মেশিন বের হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশে অনেক মানুষ এই মেশিনগুলো ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক টাকা আয় করছে্‌। 

আপনি যদি অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করেন তাহলে এই মেশিনগুলো আপনিও কিনে খুব সহজে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। নিম্নে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসার মেশিন এর নাম দেওয়া হলঃ

  • অটো প্রিন্টিং মেশিন
  • মুড়ি ভাজার মেশিন
  • আগরবাতি তৈরি করার মেশিন
  • মশার কয়েল তৈরি করার অটো মেশিন
  • মোমবাতি তৈরি করার মেশিন
  • কলম তৈরি করার মেশিন
  • আইসললি ও আইস পপ তৈরির মেশিন
  • পেপার প্লেট তৈরির মেশিন ইত্যাদি

উপরোক্ত মেশিন গুলোর যেকোনো একটি মেশিন কিনে প্রথম অবস্থায় ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না। কিছু টাকা ইনভেস্ট করে এবং ভালো একটি জায়গায় বা নিজের বাড়িতে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

এবার আপনাদের জানাবো ক্ষুদ্র ব্যবসার বারটি তালিকা সম্পর্কে। নিম্নে ক্ষুদ্র ব্যবসার 9 টি তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

ছোট চায়ের দোকানের ব্যবসাঃ

বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসার তালিকার মধ্যে ছোট চায়ের দোকানের ব্যবসা একটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসা। আপনি চাইলে রাস্তার ধারে বাজে কোন একটি ভালো জায়গা নিয়ে অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে এই ছোট চায়ের দোকানের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসায় মূলত কম ঝুঁকি রয়েছে। কারণ অল্প টাকায় আপনি সারাদিন অনেক চা বিক্রি করতে করতে পারবেন। ছোট চায়ের দোকানের ব্যবসা শুরু করে আপনি প্রতিদিন অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ অল্প টাকায় স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া জেনে নিন 

আপনি যদি কোন ক্ষুদ্র ব্যবসা বুঝেন তাহলে এই চায়ের ব্যবসাটি করতে পারেন। এই ক্ষুদ্র চায়ের ব্যবসায় অনেক লাভ রয়েছে কারণ আপনার মূলধনের চেয়ে অনেক বেশি টাকা লাভ হয়। বর্তমানে চায়ের দাম বাড়ার কারণে আপনি প্রতি কাপে পাঁচ থেকে সাত টাকা করে লাভ করতে পারবেন। এর জন্য ক্ষুদ্র এই চায়ের ব্যবসা আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে।

ফাস্টফুড ব্যবসাঃ

বর্তমানে আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা সবাই ফাস্টফুড খেয়ে থাকি। এর জন্য ফাস্টফুড ব্যবসার আইডিয়াটাও অনেক সুন্দর একটি আইডিয়া। আমাদের সবার কাছেই এখন ফাস্টফুড অনেক প্রিয় একটি খাবার। এর জন্য আপনি অল্প কিছু টাকা খরচ করে ফাস্টফুড এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর জন্য বেশি পরিশ্রমের দরকার হয় না। আপনি চাইলে নিম্নোক্ত ফাস্টফুড গুলো নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

  • বার্গার
  • চিকেন ফ্রাই
  • চিকেন স্যান্ডউইচ
  • পিৎজা
  • ডানকিন কফি
  • স্লাইডার
  • পাকোড়া
  • পাস্তা
  • ফ্রেন্স ফ্রাই ইত্যাদি।

উপরোক্ত ফাস্টফুডের ব্যবসা করে আপনি কম সময়ে বেশি টাকা অর্জন করতে পারবেন। এতে আপনার বেশি কষ্ট করার প্রয়োজন হবে না। কারণ সবাই এখন ফাস্টফুড খেতে বেশি পছন্দ করে।

ক্ষুদ্র খাবার হোটেলের ব্যবসাঃ

ক্ষুদ্র এই খাবার হোটেলের ব্যবসা আপনিও শুরু করতে পারেন তবে এই খাবার হোটেলের ব্যবসা টুরিস্ট এলাকা বা দূরবর্তী যাত্রীদের জন্য স্থাপন করলে সবচেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন। এই খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ভালো কোন জায়গা নিয়ে হোটেল তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনি সেই হোটেল থেকে প্রতিদিন অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। 

খাবার হোটেল থেকে বেশি টাকা লাভ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সব ধরনের খাবারের মেনু রাখতে হবে। যেন সবাই আপনার হোটেলের খাবার পছন্দ করে। যদিও ক্ষুদ্র খাবার হোটেলের ব্যবসা শুরু করতে বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না সে দিকে খেয়াল রেখে হোটেলের খাবার যেন স্বাদ যুক্ত হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। 

আপনি আপনার খাবার হোটেলের মেনুতে মাছ মাংস, সবজি থেকে শুরু করে সী-ফুড রাখতে পারেন। পরিশেষে বলা যায় আপনি এই ক্ষুদ্র খাবারের হোটেল থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

ক্ষুদ্র কফি শপের ব্যবসাঃ

বর্তমানে বাংলাদেশে কফি খাওয়ার জনপ্রিয়তা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মানুষ অন্যান্য পানীয় খাবার থেকে গরম গরম কফি খেতে পছন্দ করে। এর জন্য আপনি চাইলে কম খরচে এবং একটি ভালো জায়গা নির্ধারণ করে কফি হাউস তৈরি করে ক্ষুদ্র কফি শপের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেসব জায়গায় মানুষ সবচেয়ে বেশি যায় সেই সমস্ত জায়গায় কফি শপ তৈরি করা। 

কফি শপের ব্যবসা শুরু করলে কফি শপে সব ধরনের কফি রাখতে হবে যেমন: হট কফি, কোল্ড কফি এবং কাপাচিনো। এই ধরনের কফি গুলো রাখলে অল্প সময়ে অনেক টাকা অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান দেশে কফির চাহিদা বাড়ার কারণে বেশি দামে কফি বিক্রি করা যায় এর ফলে আপনি যত বেশি কফি বিক্রি করবেন তত বেশি টাকা লাভ করতে পারবেন।

পাইকারি মাছের ব্যবসাঃ

বাংলাদেশের বর্তমানে মাছের পাইকারি ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় এর মূল কারণ হচ্ছে মাছের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর জন্য আপনি চাইলে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ পাইকারি দামে কিনে এনে আমাদের দেশে বেশি টাকায় পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পাইকারি মাছের ব্যবসার জন্য আপনাদের সব ধরনের মাছের নাম এবং দাম মনে রাখতে হবে। যে মাছের সবচেয়ে বেশি দাম সেই মাছ পাইকারি কিনে আপনি বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।

এর জন্য আপনাকে যাচাই-বাছাই করে পাইকারি মাছ কিনতে হবে। আবার আপনি চাইলে আমাদের দেশে অনেক পুকুর রয়েছে। যেসব পুকুরে বর্তমানে অনেক ধরনের মাছ চাষ করা হয়। সেখান থেকে আপনি পাইকারি দামে কিনে বেশি দামে সাপ্লাই দিতে পারবেন। এতে আপনার একটু পরিশ্রম হলেও অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন।

ডিলারশীপের ব্যবসাঃ

বর্তমানে বাংলাদেশে ডিলারশিপের ব্যবসা হল সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা। এর মূল কারণ হলো আপনি যে কোন কোম্পানি থেকে অথবা যে কোন ব্যবসায়ের কাছ থেকে পণ্য ডিলার প্রাইজ এ নিয়ে অন্য যেকোনো ব্যবসায়ের কাছে একটু বেশি লাভে পন্য সেল করতে পারবেন। অল্প কিছু টাকা হলেই আপনি যে কোন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ নিয়ে নিতে পারবেন। 

এই ডিলারশিপের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সব ধরনের কোম্পানির সাথে ভালো ধরনের সম্পর্ক রাখতে হবে এবং লেনদেন ঠিক রাখতে হবে। এর জন্য আপনিও চাইলে খুব সহজে কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ডিলারশিপের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মাল্টি শপের ব্যবসাঃ

অল্প কিছু টাকা ইনভেস্টের মাধ্যমে একটি ভালো জায়গা দেখে মালটি শপ এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাল্টি শপে বিভিন্ন ধরনের ও নৃত্য প্রয়োজনীয় পণ্য উঠিয়ে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে মাল্টি শপের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারন মাল্টি শপে সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এর জন্য যে কোন ক্রেতা অন্য কোথাও যাওয়ার আগে মাল্টি শপ গুলোতে একবার হলেও ভিজিট করে।

আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম করার ২০টি উপায় - টাকা আয় অনলাইনে 2023

আপনি যদি এই মাল্টি শপের ব্যবসাটি করতে চান তাহলে উপরোক্ত ব্যবসা চেয়ে অনেক সেরা একটি ব্যবসা আপনার জন্য হবে। আপনি যদি কোন শহর এলাকা বা বাজার এলাকায় মাল্টি শপ খুলতে পারেন তাহলে সবচেয়ে বেশি কেনাবেচা হবে। এর ফলে আপনি দৈনন্দিন অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

গুড় এবং খেজুরের ব্যবসাঃ

শীত কালে গুড়ের ব্যবসা সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। কারণ শীতের সময় পিঠা থেকে শুরু করে সব ধরনের শীতের খাবার তৈরি করার জন্য গুড়ের প্রয়োজন হয়। এর জন্য আপনি চাইলে শীত কালে গুড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে কম খরচে খেজুরের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

গুড়ের ব্যবসা করতে চাইলে খেজুরের গুড়ের ব্যবসা করতে পারেন। কারণ চিনি গুড় এবং আখের গুড়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি খেজুরের গুড় বিক্রি হয়। এই ব্যবসা থেকে আপনি বিপুল পরিমাণ টাকা লাভ করতে পারবেন।

শিশুদের পণ্যের ব্যবসাঃ

বর্তমান বাংলাদেশের শিশুদের সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। তাই আপনি চাইলে শিশুদের পণ্য সামগ্রী কিনে এনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে খুব বেশি একটা টাকার ইনভেস্ট করতে হয় না। অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পণ্য তুলতে পারেন যেমন: লোশন, শ্যাম্পু, পেমপাস, পাউডার, ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের পণ্য। এই সমস্ত পণ্যগুলো তুলে আপনি খুব সহজে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ ক্ষুদ্র ব্যবসার 9 টি তালিকা

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদের ক্ষুদ্র ব্যবসার মেশিন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার 9 টি তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। আপনারা উপরোক্ত ক্ষুদ্র ব্যবসার আলোচনা থেকে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। উপরে আলোচিত ক্ষুদ্র ব্যবসার মেশিন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার 9 টি তালিকা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url