ভাগে কুরবানীর হাদিস - ৭ ভাগে কুরবানীর দলিল

আসসালামু আলাইকুম, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমরা কোরবানির ঈদে অনেক ধরনের পশু কোরবানি দিয়ে থাকি। আমরা অনেকে ভাগে কোরবানি দিয়ে থাকি কিন্তু ভাগে কোরবানির হাদিস সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তাই আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে ভাগে কুরবানীর হাদিস এবং ৭ ভাগে কুরবানীর দলিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নেই ভাগে কুরবানীর হাদিস এবং ৭ ভাগে কুরবানীর দলিল সম্পর্কে। কেননা ভাগে কোরবানি দিতে হলে কোরবানির হাদিস সম্পর্কে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত।

সূচিপত্র

ভূমিকাঃ ভাগে কুরবানীর হাদিস

আমাদের ইসলাম ধর্মের কোরবানির ঈদ বা কোরবানির ইতিহাস বেশ প্রাচীন। আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফে বিভিন্ন ধরনের কোরবানি নিয়ে সূরা উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের ইসলাম ধর্মের হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ তম চন্দ্র মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত সূর্যাস্ত কোরবানি করার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য কেউ একা কোরবানি দেয় আবার কেউ ভাগে কোরবানি দেয় তবে কোরবানি দেওয়ারও ইসলামী মোতাবেক কিছু বিধি-বিধান রয়েছে এবং ভাগে কোরবানির হাদিস ও রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ কোরবানির ঈদ ২০২৩ - কোরবানির করনীয়

পশুর মধ্যে গরু, মহিষ এবং উট এই ধরনের পশুগুলো নিঃসন্দেহে ভাগে কোরবানি দেওয়ার ইসলামে সম্পূর্ণ জায়েজ রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সাত ভাগ পর্যন্ত কোরবানি দেওয়ার দলিল দিয়েছেন। আবার সহিহ মুসলিমের অন্য একটি হাদিস দ্বারা বোঝানো যায় যে রাসূল সাঃ উটের মাধ্যমে ১০ ভাগ পর্যন্ত কোরবানি দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। অতএব এই ক্ষেত্রে বলা যায় ভাগে কোরবানি দেওয়া জায়েজ নাজায়েজ নয়। তবে মনে রাখতে হবে ভাগে কোরবানির হাদিস সম্পর্কে জেনে কোরবানি দিতে হবে।

কুরবানী দেওয়ার ফজিলত

কুরবানী দিনে একটি শ্রেষ্ঠ নাম হল ইয়াওমুল হজ্জিল আকবর বাই শ্রেষ্ঠ হজের দিন। পবিত্র কোরবানির দিনে হাজীগণ তাদের বিভিন্ন ধরনের পশু কোরবানি দিয়ে হজ্জকে পূর্ণ করেন। একটি হাদিসে এসেছে-ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কোরবানি দিনে জিজ্ঞেস করলেন এটা কোন দিন? শাহবাগণ উত্তর দিলেন এবং বললেন এটা ইয়াওমুন্নাহার বা কোরবানির দিন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন এটা হল ইয়াওমূল হজ্জিল আকবর বা শ্রেষ্ঠ হজের দিন। (আবু দাউদ ১৯৪৫, হাদীসটি সহিহ)

মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আল্লাহর নিকট পৌছায় না তাদের গোশত এবং রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। এ জন্য যে, তিনি তোমাদের পথপ্রদর্শন করেছেন সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্ম পরায়নদেরকে। (সূরা হজব: ৩৭)

সুতরাং পরিশেষে বলা যায় কুরবানী দেওয়ার ফজিলত অনেক বেশি। আপনারা কোরবানি ঈদে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের জন্য আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি হবেন। আবার আপনারা যদি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী একা কোরবানি না দিতে পারেন তাহলে ভাগে কুরবানীর হাদিস অনুযায়ী কুরবানী দিতে পারেন। কেননা ভাগে কুরবানী দেওয়া জায়েজ রয়েছে।

৭ ভাগে কোরবানি দলিল

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদের ভাগে কুরবানীর হাদিস সম্পর্কে এবং কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। এবার আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের ৭ ভাগে কোরবানি দেওয়ার দলিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। কুরবানী দেওয়ার পাশাপাশি ৭ ভাগে কুরবানীর দলিল সম্পর্কে জেনে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। নিম্নে ৭ ভাগে কুরবানীর দলিল সম্পর্কে দেওয়া হলো।

আমরা ইতিমধ্যে সাত ভাগে কোরবানি দেওয়ার বিষয়ে লা-মাযহাবীদের অনেক ধরনের কথাবার্তা শুনেছি। তাহাদের বক্তব্য অনুযায়ী সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার জন্য নাকি কোন ধরনের দলিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের পক্ষে দলিল খুঁজে না পাওয়ায় স্বাভাবিক কেননা তারা লা-মাযহাবী। তবে সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার জন্য আমাদের মহান আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই দলিল করে দিয়েছেন।
সেই সমস্ত দলিল মেনে কুরবানী দিতে হবে। তাহলেই কুরবানী সম্পন্ন হবে।

বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মুসনাদে আহমদ’ কিতাবে একটা হাদিস শরীফ এনেছেন-

অর্থঃ “হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম মুসলমানদের জন্য গরুকে সাত ভাগে কুরবানীর নির্ধারণ করে দিয়েছেন”। (মুসনাদে আহমদ ৩৮ খন্ড ৩৩৭ পৃষ্ঠা, হাদিস নং-২৩৪৪৬)

সুতরাং বলা যায় নিঃসন্দেহে সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আপনারা যে কেউ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাত ভাগে কুরবানী দিতে পারবেন। ভাগে কুরবানী দেওয়া জায়েজ।

সাত ভাগ কোরবানি দেওয়ার দোয়া

প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে সাত ভাগে কোরবানির দলিল সম্পর্কে জানিয়েছি এবং ভাগে কুরবানীর হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এবার চলুন নিম্নে আমরা জেনে নেই সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার দোয়া। যেটি কুরবানী দেওয়ার সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কেননা কোরবানি দেওয়ার জন্য অবশ্যই দোয়া পড়তে হবে। নিম্নে সাত ভাগে কোরবানি দেওয়ার দোয়া দেওয়া হলোঃ

অর্থঃ “ইন্নিহ ওযাঝঝিয়াতু ওয়াঝ হিয়া লিল্লাহি ফাতারাস সামাওতি ওয়াল আরদা, আলা মিল্লাতি ইব্রাহিমা হানিফা ওয়া মাআনা মিনাল মুশ্রিকিন। ইন্নাহ সালাতি ওআ নুসুকি ওয়াহ মাহইয়া ওয়া মামাতি রিল্লাহি রব্বুল আলামিন। লা শারিকালাহু ওয়া বিজালিকা উম্রিতু ওয়া আনা মিনাল মুস্লিমিন। বিসমিল্লাহই আল্লাহহু আকবার, আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালিক”।

আরো পড়ুনঃ কোরবানির পশুর বয়স - কোরবানির গরুর বয়স জেনে নিন

উচ্চারণঃ ‘নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশফিকদের অন্তর্গত নয়। নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তার কোন শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি আত্মসমর্পণ কারীদের একজন। হে আল্লাহ! তোমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য। আল্লাহর নামে, আল্লাহ সবচেয়ে মহান’

অতএব সাত ভাগে কোরবানি দিলেও উপরোক্ত কোরবানি দোয়াটি পড়ে কুরবানী দিতে হবে। অর্থাৎ শুধু আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্যই কুরবানী দিতে হবে। এখানে অন্য কোন নিয়ত বাধা যাবে না। এতে কোরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং আমরা সবাই ভাগে কুরবানীর হাদিস এবং সঠিক নিয়ত ও দোয়া পড়ে কুরবানী দেব।

দুই, তিন, চার,পাঁচ এবং ছয় ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আমরাও উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে কোরবানির দোয়া এবং ভাগে কুরবানীর হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। আশা করি কোরবানির দোয়া এবং ভাগে কুরবানীর হাদিস সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আমরা এ আর্টিকেলের মাধ্যমে দুদুই, তিন, চার,পাঁচ এবং ছয় ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যদি কেউ দুই, তিন, চার,পাঁচ এবং ছয় ভাগে কুরবানী দিতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। নিম্নে দুই, তিন, চার,পাঁচ এবং ছয় ভাগে কোরবানি দেয়ার নিয়ম দেওয়া হল।

মুসলমান ভাই-বোনদের মধ্যে মিলন ঘটানোর জন্য আনন্দের ২ ঈদ এর মধ্যে ঈদুল আযহা একটি। ঈদুল আযহার সবচেয়ে বড় আমল হচ্ছে কোরবানি দেওয়া। আমাদের মহান আল্লাহ তাআলা কোরবানি করার নির্দেশ দিয়ে বলেন-‘আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ে এবং কোরবানি আদায় করুন’।(সূরা কা্সউর- ২) কোরবানি করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার এবং প্রিয় রাসূল সাঃ এর ভালোবাসায় নিজের সকল কিছুর চাহিদা ত্যাগ করায় শিক্ষা রয়েছে।

নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী একাই একজন পশু বা বড় কোন পশু ভাগে কোরবানি দেওয়ার জায়েজ রয়েছে। যেমন: উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে কোরবানি দেওয়া যায় এবং সাত ভাগের কমেও কোরবানি দেওয়া যায় যেমন: দুই, তিন, চার, পাঁচ এবং ছয় ভাগেও কোরবানি দেওয়ার জায়েজ রয়েছে। (মুসলিমঃ ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭) 

আবার জাবের দিন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা হুদায়বিয়ার সনে উট সাতজনের পক্ষ থেকে এবং গরুও সাতজনের পক্ষ থেকে কুরবানী করেছিলাম’।(সহিহ মুসলিম: ২৩২২, আবু দাউদ: ২৮০৯, তিরমিজি: ১৪২২, ইবনে মাজাহ: ৩১৩২) অতএব আপনিও চাইলে একটি গরু বা উট দুই, চার বা ছয় ভাগে কুরবানী করতে পারবেন।

বেনামাজির সাথে কোরবানি দেওয়া যাবে কিনা

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা ভাগে কোরবানি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলাপ আলোচনা করেছি। আমরা আর্টিকেল এর মাধ্যমে বেনামাজির সাথে কোরবানি দেওয়া যাবে কিনা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। নিম্নে ভাগে কুরবানীর হাদিস এবং বেনামাজির সাথে কোরবানি দেওয়া যাবে কিনা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হল।

নামাজ এবং কোরবানি দুইটি ভিন্ন ধরনের এবাদত। সবার উপরে কোরবানি ওয়াজিব হয় না, বরং ইসলাম শরীয়তের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী যারা সামর্থ্যবান এবং সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো পশু কোরবানি দিতে পারবে তাদের ওপরে ই কুরবানী ওয়াজিব করা হয়েছে। কোরবানির নির্দেশ দিতে আল্লাহ তাআলা বলেন-‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন’। (সূরা কাওসার:২)

আরো পড়ুনঃ কোরবানি সম্পর্কে আয়াত ও হাদিস জেনে নিন

অন্যদিকে নামাজ হলো ইসলামের দ্বিতীয় রোকন এবং মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণকারী। আল্লাহ তাআলার এবাদত করা এত বড় একটি দায়িত্ব যা কখনো ছেড়ে দেওয়া যায় না। ফরজ নামাজ ত্যাগকারীর মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ অনেক ধরনের বিপদের কথা বলেছেন। হাদিসে ইরশাদ রয়েছে ‘কোন ব্যাক্তি এবং কুফর ও শিরকের মধ্যে ব্যবধান শুধু নামাজ না পড়া। যে ব্যাক্তি নামাজ ছেড়ে দিল সে কাফের হয়ে গেল বা কাফেরের মত কাজ করলো’ (সহীহ মুসলিম: ৮২)। 

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো ইরশাদ করেন, ‘আমাদের ও কাফেরদের মধ্যে ব্যবধান শুধু নামাজের। যে নামাজ ত্যাগ করল সে কাফের হয়ে গেল’। (তিরমিজি: ২৬২১) অতএব যে ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাজ ছাড়লো তার প্রতি আল্লাহ তাআলার কোন জিম্মাদারী থাকে না। (মুসনাদে আহমদ: ৫/২৩৮)

সুতরাং বলা যায় নামাজের সাথে কোরবানির কোন সম্পর্ক নাও থাকলে নামাজ থেকে বঞ্চিত বা গাফিলতি কারী কে কোরবানিতে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করেন বিভিন্ন ধরনের আলেমগণরা। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এবং আল্লাহকে ভয় পেয়ে নামাজ পড়ে এবং আল্লাহর শরীরক মোতাবেক কোরবানি দেয় সে কখনো নামাজ ছাড়তে পারে না। 

আবার অনেক বেনামাজি মানুষ আছে যারা শুধু কোরবানির মাংস খাওয়ার জন্য কোরবানি দিয়ে থাকে। তবে এরকম ব্যক্তিকে যে তার ভাগে শরিক করবে তারও কোরবানি কবুল হবে না। বরং তার কোরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। একটি বিষয়ে ফতোয়ার কিতাবে এসেছে- যদি কেউ আল্লাহতালার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কোরবানি না করে শুধু গোস্ত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে তাহলে তার কোরবানি সহিহ হবে না। 

তাকে অংশীদার বানালে শরিকদের কারো কোরবানি হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরিক নির্বাচন করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়েঃ ৪/২০৮, কাজী খান: ৩/৩৪৯) অতএব পরিশেষে বলা যায় বেনামাজি ব্যক্তিকে কোরবানিতে শরীয়ক না করাই ভালো।

শেষ কথা

আমরা উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে ভাগে কুরবানীর হাদিস এবং সাত ভাগে কোরবানির দলিল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন। ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক আপনারা সকলেই কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করতে পারবেন। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url