রুম হিটারের দাম কত - রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক এই পোস্টের মাধ্যমে রুম হিটারের দাম কত ও রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৩ আলোচনা করব। শীতের সময় ঠান্ডাকে দূর করার জন্য রুম হিটার ব্যবহার করে থাকি। তাই আজকের এই পোস্টে এ রুম হিটারের দাম কত ও রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
চলুন দেরি না করে জেনে নেই রুম হিটারের দাম কত ও রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৩।

সূচিপত্র

রুম হিটারের বিস্তারিতঃ

গ্রীষ্মকাল পার হয়েই চলে আসে শীতকাল যার শীতের তীব্রতা বা ঠান্ডা কে মেটানোর জন্য আমরা অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি ও ক্যাথা কম্বল ব্যবহার করে থাকি। তাছাড়া আমরা এই তীব্র শীত দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রুম হিটার ব্যবহার করে থাকি। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা রুম হিটারের সঠিক দাম সম্পর্কে অবগত না এবং সঠিক রুম হিটার ও রুম হিটারের দাম কত ও এটা সঠিক কিনা তা জানার জন্য অনেকেই অনেক জায়গায় অনলাইনে সার্চ করে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহারের নিয়ম - ওয়ালটন ফ্রিজ রিয়েল দাম 2023

তাই নিশ্চিন্তে বলতে পারি আমাদের এই পোস্টার মাধ্যমে সঠিক রুম হিটারের দাম কত রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৩ সম্পর্কে সত্যটা জানতে পারবেন। আমরা রুম হিটার ব্যবহার করি তবে রুম হিটার কতদূর পর্যন্ত বা কত জায়গা পর্যন্ত গরম করতে পারে তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। সেজন্য রুম হিটারের দাম কত ও রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইজ ২০২৩ সম্পর্কে জানার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটা।

বিভিন্ন ধরনের রুম হিটারঃ

আমরা যে ধরনের হিটার ব্যবহার করি তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈদ্যুতিক রুম হিটার তবে ব্যাটারী চালিত রুম হিটারও ব্যবহার করে থাকি। আমরা কনভেকশন রুম হিটার, ওয়েল রুম হিটার, ফ্যান রুম হিটার, গ্যাস রুম হিটার, ইনফ্রারেড রুম হিটার ইত্যাদি রুম হিটার ব্যবহার করে থাকি। তার মধ্যে এই কিছু রুম হিটারের দাম , রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৩ সম্পর্কে ও রুম হিটারের বিস্তারিত আলোচনা করব। নিচে ইনফ্রারেড রুম হিটার সম্পর্কে আলোচনা দেওয়া হল।

ইনফ্রারেড রুম হিটারঃ

ইনফ্রারেড রুম হিটার এটি একটি বৈদ্যুতিক রুম হিটার যার হিটের মাধ্যমে আলোর প্রতিফলন ঘটে বা ঘটতে পারে। ঘরের যতটুকু জায়গা অন্যান্য হিটারের মাধ্যমে গরম হয় তা এই গিটারের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি জায়গা নিয়ে গরম হয় তাই বলা যায় অন্যান্য হিটারের চেয়ে এই হিটারের কার্যকরী ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। এটি বৈদ্যুতিক সংযোগে চলে তবে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও রুমকে অনেকক্ষণ ধরে ঠান্ডা করে রাখে।

কনভেকশন রুম হিটারঃ

কনভেকশন রুম হিটার এর মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি ঘর গরম হয়ে থাকে বলা যায় এটি একটি পরিচালিত ঘর গরম করার রুম হিটার। কনভেকশন রুম হিটার পানির মাধ্যমে রুম গরম করে পানি গরম হয়ে বাষ্পের মাধ্যমে রুমকে হিট করে।এবং ইলেকট্রিক সাপ্লাই এর সংযোগ দেয়ার সাথে সাথে এটির ভেতরের কয়েল উত্তপ্ত হয় এবং আশেপাশের শীতল হাওয়াকে কোয়েলের সংস্পর্শে বাতাসকে গরম করে যার মাধ্যমে ঘর অধিক সময় গরম থাকে। 

গ্যাস রুম হিটারঃ

গ্যাস রুম হিটার সাধারণত গ্যাসে চলে অর্থাৎ সাধারণ সিলিন্ডার বা লাইনের গ্যাস। এ ধরনের হেইটার গুলো বেশিরভাগই পোর্টেবল হয় না। যে ধরনের রুম হিটার গুলো পোর্টেবল অর্থাৎ ইহা জায়গা স্থানান্তর করা যায় এবং যেগুলোতে চিমনি থাকে। নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হয়। এটি ব্যবহারের জন্য যতটুকু গ্যাস প্রয়োজন হয় তার তুলনায় পুরো রুমকে হিট করতে পারেনা। 

কারণ গ্যাস পড়ে যে সাথে সাথে বের হয়ে যায়। তবে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যদি এই গ্যাস রুম হিটার আমরা ব্যবহার করি তাহলে অবশ্যই, অবশ্যই বাতাস বের হওয়ার জায়গা থাকতে হবে না হলে কার্বন মন অক্সাইড ছড়িয়ে পড়তে পারে যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক।

ওয়েল রুম হিটারঃ

ওয়েল হিটার তেলের মাধ্যমে চালিত একটি হিটার তবে ইলেকট্রিক রুম হিটারের মতোই এটি কাজ করে তবে রুম ওয়েল হিটারের ব্যবহারকৃত তেল হিটারটি বন্ধ হওয়ার পরেও অনেকক্ষণ কাপ প্রদান করে। ওয়েল রুম হিটার এর খরচ অনেকটাই কম। বলা যায় স্বল্প খরচেই রুম খেয়ে ঠান্ডা করে রাখা যায়।

ওয়েল রুম হিটারের সুবিধা

  • ওয়েল রুম হিটারের থেকে ভালো দিক হলো ঘরের অক্সিজেনকে কমায় না এবং বাষ্পকেও কমায় না তাই অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্পের পরিমাণ পরিবর্তন হয় না।
  • কারণ ওয়েল রুম হিটার এর কয়েলের সাথে সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শ থাকে না তাই অক্সিজেন ও পুড়িয়ে ফেলতে পারে না সেইসাথে জলীয় বাষ্প সবসময়ই সঠিক পরিমাণে থাকে।
  • ওয়েল রুম হিটার ব্যবহার করা অনেকটাই নিরাপদ।
  • এটি রুমের শীতল হাওয়া কে গরম করে তাই এটি বন্ধ করার পরেও রুমকে অনেক সময় ধরে গরম রাখতে সাহায্য করে।
ওয়েল রুম হিটারের অসুবিধা
  • ওয়েল রুম হিটার অন্যান্য রুম হিটারের চেয়ে অনেকটাই দামি।
  • ওয়েল রুম হিটার এর ওজন অনেকটাই বেশি তাই এটি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
  • ওয়েল রুম হিটার এর সুইচ অন করার পরেও অনেক সময় লাগায় সম্পূর্ণ রুমটিকে গরম করার জন্য।

ফ্যান রুম হিটারঃ

ফ্যান রুম হিটার এটি একটি মূলত বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে। এই রুম হিটারের ফ্যান ডিভাইসটি থেকে অনেক দূর পর্যন্ত তাপ ছড়িয়ে দেয়। এর জন্য তুলনামূলকভাবে স্বল্প পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ করে এবং অধিক পরিমাণে তাপ উৎপন্ন করে। এই যন্ত্রটির বৈদ্যুতিক হিটিং এর প্রতিরোধ শক্তি প্রায় ১০০%।

ফ্যান রুম হিটারের সুবিধা

  • অন্যান্য সকল কনভেকশন রুম হিটারের তুলনায় দাম কম।
  • ফ্যানিটারের অনেকটাই ওজন কম তাই খুব সহজে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যেতে কোন সমস্যা হয় না।
  • অনেকটাই নিরাপদ
  • রুম হিটারবন্ধ হওয়ার পরও অনেক সময় ধরে ঘরকে গরম রাখে।
ফ্যান রুম হিটারের অসুবিধা 
  • ফ্যান রুম হিটার ব্যবহারের ফলে ঘরের মধ্যকার অক্সিজেন ও জলীয়বাষ্প এর ঘাটতি দেখা যায়।
  • এই হিটারটি ব্যবহারের জন্য অনেক বেশি পরিমাণের এম্পিয়ার সকেট প্রয়োজন হয় যেমন ১৫ এম্পিয়ার।

রুম হিটার গুলোর বিল কত আসে ?

রুম হিটারের ক্ষেত্রে বিল আসার কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই খরচটা নির্ভর করে যতক্ষণ ব্যবহার করা হবে এবং সেখান কার আবহাওয়ার ওপর, এবং ঘরের ব্যাসার্ধের উপর এবং কতক্ষণ ব্যবহার করছি তার ওপর। সচরাচর একটি ৫০০ ওয়াটের রুম হিটার একসাথে এক-দেড় ঘন্টা চালানোর পর ৮-১০ টাকা বিল আসে।

রুম হিটারের দাম কত ? রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইস

আমাদের দেশে রুম হিটারের সর্বনিম্ন মূল্য ১,৪০০ টাকা এবং তার বেশি দামে কিনলে আরো ব্যালেন্স বাড়াইতে হবে ২০০০, ৩০০০,৫০০০ টাকা। বাংলাদেশে এই দামের ভিতরে রুম হিটার পোর্টেবল হয়ে থাকে তবে সাধারণত এই পোর্টেবল হিটার গুলো ছোট রুমের জন্য ব্যবহার করা যায়। ছোট রুমের জন্য এ ধরনের পোর্টেবল রুম হিটার ব্যবহার করি তবে বড় রুমের জন্য একটু দামি রুম হিটার প্রয়োজন হয় যা এই দামের মধ্যে পাওয়া যায় না যেখানে শীতের আবহাওয়া বেশি সেখানে দামি হিটারগুলোই ভালো। 

আর ২-৩ হাজারের বেশি কিনলে অবশ্যই ব্র্যান্ডের রিমিটার গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কিনতে হবে। ৪০০-৫০০ টাকার যে রুম হিটারগুলো পাওয়া যায় ওগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি তবে আমাদের মনে রাখতে হবে এগুলো ব্যবহারের ফলে। রুম হিটারের দাম কত ও রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৩ এর বিস্তারিত আরো জানুন। যেমন আমাদের ক্ষতি হয় কারণ এগুলো ব্যবহারের ফলে কার্বন মনোঅক্সাইড উৎপন্ন হয় যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক। 

আরো পড়ুনঃ ওয়ালটন ফ্রিজ বাংলাদেশ প্রাইস 2023 - ওয়ালটন ফ্রিজ ১৬ সেফটি দাম ২০২৩

তবে সামান্য কিছু টাকার জন্য নিজের ক্ষতি করার কোন মানে আসে না।তাই বেশি দাম দিয়ে কিনলে আমাদের জন্যই ভালো। ব্র্যান্ডের রুম হিটার ব্যবহার করলে শীতের তীব্রতা কে অতি নিমিষেই রুমকে গরম করে ফেলে। এবং অফিস বা কারখানার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল রুম হিটার প্রয়োজন যে রুম এটার ব্যবহার করব সে রুম হিটারের দাম অনেকটাই বেশি। 

তবে অবশ্যই আমাদেরকে জেনে নিতে হবে রুম হিটার গুলো কোন ব্র্যান্ডের, কতটুকু বিদ্যুৎ খরচ করে বা সাশ্রয় করতে পারে, কি কি বৈশিষ্ট্য আর কি প্রযুক্তি দ্বারা প্রচলিত সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শেষ কথাঃ

আশা করি রুম হিটারের দাম কত ও রুম হিটারের বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৩ সম্পর্কে যা আলোচনা করলাম তা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। যদি আমাদের এই আর্টিকেল টা আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা বেশি বেশি শেয়ার করে মানুষকে এটি জানার জন্য পৌঁছে দিন। ধন্যবাদ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url