ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় সম্পর্কে জানব। দাঁত আমাদের খবর প্রয়োজনীয় জিনিস যার মাধ্যমে আমরা খাবার চিবিয়ে খেতে পারি। অনেক সময় দাঁতে আমাদের অনেক রকম সমস্যা দেয়। তাই আমাদের ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।
আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে সহায়তা করে দাঁত। দাঁত ছাড়া আমাদের কোন কিছুই খাওয়া সম্ভব না। আমাদের শরীরের সাথে সাথে দাঁতের যত্ন নিতে হবে।

সূচিপত্র

ভূমিকাঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায়

দাঁতের মাধ্যমে আমরা কত কিছুই না করি। দাঁত না থাকা মানে শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট। দাঁত শরীরের সৌন্দর্য ধরে রাখে। অনেক সময় আমাদের দাঁত হলুদ এবং দাঁতে পোকার কারণে আমরা কারো সামনে ঠিকভাবে কথা বলতে পারি না। তার জন্য আমাদের ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় জানতে হবে। আমাদের দাঁত এর যত্ন নিতে হবে। প্রচলিত কথায় আছে দাঁত থাকবে দাঁতের মর্ম দিতে হয়।দাঁতের মাধ্যমে আমরা কোন কিছু সহজে চিবিয়ে খেতে পারি। চিবিয়ে খাওয়ার খাইলে শরীরের জন্য উপকারী।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় - ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

অনেক সময় আমরা সুন্দর দাঁতের সুন্দর হাসির জন্য পরিবার থেকে শুরু করে বন্ধু মহলে হয়ে উঠে আকর্ষণীয়। দাঁতের যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের বছরে একবার হলেও ডেন্টিসের কাছে যাওয়া উচিত। সুন্দর দাঁতের যত্ন নিতে অবশ্যই আমাদেরকে ডেন্টিসের কাছে যেতে হবে। হলুদ দাঁতের কারণে লোকজনের সামনে কথা বলতে পারি না। নিয়মিত একটু দাঁতের যত্ন নিলে সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় না। আমাকে সর্বপ্রথম ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায়

বাংলাদেশদেখা গেছে ১৮থেকে ৪৯ বয়সীদের কাজ সাদা করার প্রবণতা বেশি। বিশেষ করে যারা নিজের চেহারা নিয়ে সচেতন তারা। যার জন্য আমরা দাঁতের ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করি। ডাক্তারের কাছে অযথা টাকা খরচ না করে আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় জানতে পারবেন।আর যেটা সবচেয়ে প্রয়োজন তাহলে সচেতনতা। এছাড়াও ক্লিনিক গুলোতে বেশিরভাগ দাঁত ব্লিজ করার রাসায়নিক ব্যবহার হয়। 

আর এ পদ্ধতি অনেকের ক্ষেত্রে বিপদজনক। এর জন্য রাসায়নিক ঔষধ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা থেকে দূরে থাকতে হবে। না হলে এটি পরবর্তীতে অনেক বড় সমস্যা কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

দাঁত ঝকঝকে করার ঘরোয়া উপায়

দাঁত সাধারণত নিজের গাছ হলেদের কারণে হলুদ রঙ্গের হয়ে যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করা তাহলে প্রাকৃতিক নিয়ম। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এক কথা বলা যায় প্রাচীনকালে নিয়মগুলো আর বর্তমানকালের নিয়ম গুলো অনেক তফাৎ।হলুদ হয়ে যাওয়ার আগেই দাঁতের যত্ন নিতে হবে।ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় গুলোর মধ্যে লেবুর রস, কমলার খোসা, মাশরুম, গ্রিন টি, বেকিং পাউডার ইত্যাদি নিয়ম এটা ব্যবহার করতে হবে। নিচে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় দেওয়া হলোঃ 

কমলার খোসা
কমলার খোসা দাঁত সাদা করতে জাদুর মত কাজ করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে কমলালেবুর খোসা দিয়ে ধান ঘুষতে হবে। এতে দাঁ ত শক্তিশালী ও সাদা হবে।

গ্রিন টি
গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুরাইড থাকে। তাছাড়া এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শক্তি থাকার কারণে দাঁতের হলুদ রং হয় না।

বেকিং পাউডার
দাঁত সাদা করতে বেকিং পাউডার খুবই কার্যকর। পেস্টের সাথে কিছু বেকিং পাউডার দিয়ে ব্রাশ ভিজিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ঝকঝকে সাদা হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশের সময় এটা করা যেতে পারে।

লবঙ্গ এবং নুন
আজকাল অনেক টুথপেস্টেই লবঙ্গ আর নুন থাকার কথা দাবি করা করছে। কারণ হলো রাতে এই দুইয়ের কোন তুলনা হয় না। তাদের যত্নে লবঙ্গ তেলে ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল ধরেই হয়ে আসছে। লবঙ্গ এই লবঙ্গ ও নুন দাঁতের হলুদ দাগ ও ছোপ দূর করে। এর জন্য প্রথমে লবঙ্গ গুড়া করতে হবে সেই গুড়া থেকে এক চামচ নিয়ে তাদের সমপরিমাণ নুন মিশাতে হবে। সেটি দিয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে দাঁত মাজতে হবে। নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিতে হবে তাহলে দাঁতে দাগ মুক্ত ও ঝকঝকে হবে।

প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত সাদা করার উপায়

আমরা উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু দাঁত সাদা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। তবে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত ঝকঝকে করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। নিম্নে প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত সাদা করার উপায় দেওয়া হলোঃ

লেবুর রস
দাঁত ঝকঝকে ও সাদা করতে প্রতিনিয়ত লেবু ব্যবহার করতে হবে। লেবু আপনি খুব সহজে আপনার আশেপাশে পেয়ে যাবেন। একটু লবন ও একটু লেবুর রস দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হয়। এছাড়া লেবুর খোসা দিয়ে দাঁত শক্তিশালী করতে পারবেন। এতে আপনার দাঁত সাদা ও ঝকঝকে হয়ে যাবে।

মাশরুম
দাঁত সাদা করতে মাশরুম খেতে পারেন। মাশরুমে অধিক পরিমাণের পলিস্যাকারাইড থাকে।
পলিস্যাকারাইড ব্যাকটেরিয়া  ধ্বংস করে ও ডেন্টাল প্লাক হতে দেয় না।

নারিকেল তেলের ব্যবহার
নারকেল তেল কেবল চুল আর ত্বকের জন্য নয় সে সঙ্গে এটি দাঁত সুন্দর করতেও কাজ করে। নারিকেল তেলে এমন কিছু উপাদান থাকে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এটি  দাঁতের সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। দাঁত সাদা করার জন্য ২ চামচ নারকেল তেল নিতে হবে। তেলের সাথে কিছু মেশানোর প্রয়োজন হবে না। তারপর দুই মিনিট রেখে দিতে হবে। দুই মিনিট হয়ে গেলে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় এর মধ্যে পড়ে।

আরো পড়ুনঃ পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম - পেঁয়াজের তেলের উপকারিতা

তিল এর ব্যাবহার
তিল ব্যবহারের পদ্ধতি হলো চার চামচ তিল ভালো করে বেটে তৈরি করে নিতে হবে পেস্ট। সেই পেজ দিয়ে সপ্তাহে অন্তত চার দিন দাঁত মাজলে হলদে ভাব দূর হবে। হলে দাদ হলদে দেখার আশঙ্কা থাকবে না। এটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে তাছাড়া করার উপায়। অল্প পরিমাণ তিল মুখে নিয়ে কুলকুচি করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

নিমের দাঁতন
দাঁতের যত্নের অন্যতম সুপরিচিত নাম হলো নিমের দাঁতন। প্রাচীনকাল থেকে এই নামের দাঁতন ব্যবহার হয়ে আসছে। নিমের দাঁতনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তার গুনে ক্যাভিটির মতো সমস্যা তো দূরে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়। এতে দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়। এটিও কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায়। তাছাড়া নিমের ডাল শুকিয়ে নিয়ে পাউডার বানিয়ে সেই পাউডার দিয়ে দাঁত মাজলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

কলার খোসা
দাঁতের যত্নের অন্যতম অপকারী উপাদান হলো কলার খোসা। একটা কলার খোসা নিয়ে তার ভেতরের সাদা অংশ দুই মিনিট দাঁতে খুঁজতে হবে। তবে একটি বিষয় হলো বিষয়টি ছাড়ানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। আপনার উপকার পাওয়া যাবে। কিছুদিন ফেলে রেখে ব্যবহার করলে কোন কাজে আসবে না।

মধুর ব্যাবহার
দাঁতের যত্নে মধু কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে চার চামচ মধু সঙ্গে দুই চামচ ভিনেগার মিশিয়ে দিতে হবে। সে মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজতে হবে। নিয়মিত অল্প দিনে দাঁতের হলদে ভাব দূর হবে। সঙ্গে তাদের উপরের অংশে কোন ধরনের ক্ষতি হবে না।

পুদিনা পাতা
টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজার পড়ে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে হবে। কয়েকদিন পুদিনা পাতা থেতে করে এবং বাড়িতে ঘষলে মুখের দুর্গন্ধ যেমন দূর হবে এমন দাঁতের কে থাকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া মারা যাবে। যাতে নানা সমস্যা দূরে থাকবে। যাদের হারিয়ে যাওয়া সাদা ভাব ফিরে আসবে।

দাঁত সাদা করার ঘরোয়া টোটকা

প্রাচীন ভারতীয় পদ্ধতি হলো দাঁতের তেলের মাসাজ। এই পেশার নাম ওয়েল পুলিং। মুখে তেল রেখে কয়েক মিনিট ধরে কুলকুচি করুন। যেমন ভাবে মাউথওয়াশ ব্যবহার করা হয়। তেল হিসেবে সেরা নারিকেল তেল এটি প্রাকৃতিকভাবে দাঁত সাদা করে। নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করলে দাঁতের মাড়ির রোগ হ্রাস পায়। লেবুর সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁত মাজলেও দাঁত সাদা হয়। যে কোনো কালো দাগ মেটাতে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল একেবারে চ্যাম্পিয়ন।

আরো পড়ুনঃ স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ - মোটা হওয়ার সবচেয়ে ভালো ঔষধ

অনলাইন অথবা ফার্মেসি দোকানে এটি খুব সহজে পাওয়া যায়। অক্সিজেন এবং ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড এর সঙ্গে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় অ্যাক্টিভেটেড চারকোল। দাঁতের ক্ষেত্রে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল শোষণে চমৎকার ভূমিকা পালন করে। কফি বাচ্চা এক ধরনের পর্দা থাকার কারণে দাঁতে দাগ লেগে যায়। আপনার টুথব্রাশে অ্যাক্টিভেটেড কার্যকলাপ পাউডার লাগান এবং দাঁতের দাগ দূর করার জন্য স্বাভাবিকভাবে দাঁত ব্রাশ করুন

শেষ কথা

আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা দাঁতের প্রতি যত্ন ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার নিয়ম জানতে পারব। দাঁত আমাদের খাদ্য চিবিয়ে খেতে সহায়তা করে। খাদ্য চিবিয়ে খেলে শরীর সুস্থ থাকে। এটা আমাদের শরীরে রোগ জীবাণু কম হয়। আমরা অনেক সময় দাঁতের কারণে অনেক খাবার খেতে পারি না এবং পরিবার অথবা বন্ধু মহল ভালোভাবে কথা বলতে পারি না মন খুলে আসতে পারি না। তাদেরকে অবশ্যই রাতে যত্ন নিতে হবে। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url