মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম - মেয়েদের ইহরামের নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম, প্রতিবছরই পবিত্র মক্কা শরীফে আমাদের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। আমরা অনেকেই আছি যারা হজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এবং মেয়েদের ইহরামের নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। কেননা মেয়েদেরকে অবশ্যই মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম জেনে রাখা উচিত।
চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নেই মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এবং মেয়েদেরইহরামের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি হজ পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সূচিপত্র

হজ কাকে বলে?

পবিত্র হজ শব্দের অর্থ হল ইচ্ছা করা। শরীয়তের পরিভাষায় নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বায়তুল্লাহ ও আরাফাহ সহ সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানে যাওয়াকে হজ বলে।

হজ পালনের গুরুত্ব এবং ফজিলত

পবিত্র হজ হলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দাদের মধ্যে যাদের হজ পালনের সামর্থ্য হয়ে যায় তার ওপর সম্পূর্ণরূপে হজ ফরজ হয়ে যায়। পবিত্র আল কুরআনের আল্লাহ তা'আলা হজের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন যে- 

অর্থঃ “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ওই ঘরের হজ করা তার জন্য অবশ্যই কর্তব্য। এবং যে কেউ প্রত্যাখ্যান করল সে জেনে রাখুক, নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্ব জগতের মুখাপেক্ষী নন”। (১)

উপরোক্ত আয়াতটির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার অধিকার হিসেবে হজ্জকে বর্ণনা করা হয়েছে। সূরা আল- হজে আল্লাহ তাআলা হজের মূল উদ্দেশ্য কি এবং তা কখন শুরু হয় সেই সম্পর্কে স্পষ্ট বর্ণনা করে দিয়েছেন-

অর্থঃ “এবং মানুষের কাছে হজের ঘোষণা করে দিন, ওরা আপনার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সব ধরনের ক্ষীণকায় উটের পিঠে, এরা আসবে দূর দূরান্তের পথ অতিক্রম করে। যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যার রিজিক হিসেবে দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে। তারপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্ত, অভাবগ্রস্তকে খাওয়াও”। (২)

আরো পড়ুনঃ কোরবানির ঈদ ২০২৩ - কোরবানির করনীয়

উপরোক্ত নির্দেশটি আল্লাহ তা'আলা ইব্রাহিম (আঃ) দিয়েছিলেন। এবং হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহ তায়ালার দেওয়া সেই নির্দেশগুলোকে বাস্তবায়ন করেছেন। আয়াতে তাফসীরে সাহাবী এবং তাবেয়ীদের হতে সহীহ ভাবে বর্ণিত হয়েছে যে,ইব্রাহিম (আঃ) এ নির্দেশ পাওয়ার পর বলেছিলেন- ‘হে আমার প্রভু! আমার ঘোষণা তাদের কানে পৌঁছাবে কে?’ মহান আল্লাহতালা তখন সেটা পৌঁছানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। (৩)

পবিত্র হজ্জ মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কল্যাণকর এবাদত। যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। সামর্থ্যবান লোকদের জন্য হজ্ব ফরজ করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। শুধু সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের জন্য হজে একবার ফরজ হয়। হজ পালনের পর হজ তখন তার জন্য নফল হয়ে যায়।

  • বিভিন্ন ধরনের হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার উম্মতকে হজের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তাগিদ দিয়েছেন।
  • হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন কাজটি সবচেয়ে উত্তম? তিনি উত্তরে বললেন, “আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা”। তারপরে আবার জিজ্ঞেস করা হলো এরপর কোনটি? তিনি উত্তরে বললেন, “আলোর পথ জিহাদ করা”। আবারও জিজ্ঞেস করা হলো তারপর কোনটি? তিনি উত্তরে বললেন, “তারপরও হচ্ছে মাবরুর হজ। (৪) হজে মাবরুর বলতে এমন একটি হজ কে বোঝায় যে হজে ত্রুটি হয়নি বা যা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য”।
  • হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন: “এক ওমরা আদায় করার পর আবার ওমরা আদায় করলে তা মাঝখানের সময়টুকু জন্য কাফফারা হয়ে যায়। আর মাবরুর হজের প্রতিদানই হচ্ছে জান্নাত”। (৫)
  • হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি এমন ভাবে হজ করবে যে, তাতে সে অশ্লীল কথা বলে না এবং কোন গুনাহের কাজ করে না, সে সকল গুনাহ থেকে মা তাকে প্রসব করার দিনের মতো অবস্থায় ফিরে যাই”। (৬)
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেন: “যে ব্যক্তি এ ঘরে আসলো, তাতে সে অশ্লীল কথা বলে না এবং কোন গুনাহের কাজ করে না, সে সকল গুনাহ থেকে মা তাকে প্রসব করার দিনের মতো অবস্থায় ফিরে যাই”। (৭) এই হাদিসগুলো একই সাথে হজ এবং ওমরাকে অন্তর্ভুক্ত করে।

পরিশেষে বলা যায় হজের গুরুত্ব এবং ফজিলত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের সকলেরই উচিত আমরা যারা সামর্থ্যবান তারা অবশ্যই হজ পালন করা। এবং আল্লাহ তায়ালার ঘর প্রদর্শন করা। কেননা যারা সামর্থ্যবান তাদের জন্য হজ অবশ্যই খরচ করে দিয়েছেন মহান আল্লাহতালা।

নারীদের হজের গুরুত্ব

নারীদের হজের গুরুত্ব পুরুষদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কেননা নারীদের জন্য হজ জিহাদের সমতুল্য। হাদীসে এসেছে মা আয়েশা (রাঃ) হযরত মোহাম্মদ সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো দেখেছি জিহাদই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল, তাহলে আমরা নারীরা জিহাদ করব না কেন? হযরত মুহাম্মদ সাঃ উত্তরে বললেন: “তোমাদের জন্য মাবুর হজই শ্রেষ্ঠ জেহাদ”। অতএব আমরা এই হাদিস থেকে নারীদের জন্য হাজের আলাদা গুরুত্ব বুঝতে পারি। হজ্জ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হওয়ায় নারীদের জন্য এটি জিহাদ।

সুতরাং যে মহিলা হজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে সে হাজী সাহেবা কে আমরা অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কেননা অনেক নারী আছে যাদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে কিন্তু তারা তা সেই সম্পর্কে জানে না। আবারো অনেক মহিলারা আছে যারা জানে আমাদের উপর হজ ফরজ হয়েছে কিন্তু তা পালন করতে অনিচ্ছুক হয়েছে তাদের অবশ্যই গুনা হবে। এর জন্য নারীদের উচিত প্রাপ্ত সামর্থ্যবান হলে আল্লাহ তায়ালার ঘর প্রদর্শন করা।

মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম

প্রিয় পাঠক আমরা উপুক্ত আলোচনার মাধ্যমে হজের গুরুত্ব এবং মহিলাদের ওমরা পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। আমরা আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। নিম্নে মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এবং মেয়েদের ইহরামের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হল।

পবিত্র হজ্জ পালন একটি নারীর জন্য বাধ্যতামূলক ধর্মীয় কাজ। কিন্তু একজন নারী হজ পালন করতে চাইলে তাকে সর্বপ্রথম হজ্জের নিয়ম এবং ইহরামের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। একজন মহিলা হজ পালনের জন্য তার বয়স ৪৫ বছর এর কম হলে সে মহরামের সাথে ভ্রমণ করতে পারবে। আর যদি একজন মহিলার বয়স ৪৫ বছরের বেশি হয় তাহলে সে হজ পালনের জন্য একটি দলের সাথে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে তিনি যদি একা হজ করতে যেতে চান তাহলে তার মাহরামের কাছে থেকে একটি স্বাক্ষরিত দলিল আনতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ ভাগে কুরবানীর হাদিস - ৭ ভাগে কুরবানীর দলিল

একজন বিশ্বস্ত মহিলা এবং প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা বা ৪৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলা যে কোন নির্ভরযোগ্য মহিলার সাথেও হজে যেতে পারবেন। তবে মহিলাদের মনে রাখতে হবে মাহরামের স্বাক্ষরিত দলিল ব্যতীত কোন মহিলা হজে যেতে পারবেন না এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আবার একটি মহিলা তার বাসার যেকোনো লোকের সাথে গিয়ে হজ পালন করতে পারবে। একজন মহিলার জিমাদার তার মা-বাবা, ভাই-বোন, পুত্র অথবা জামাই হতে পারে। আবার যদি কোন মহিলা অসুস্থতার জন্য হজ করতে না পারে তাহলে তার বদলে অন্য একজন হজ করতে যেতে পারবেন।

তবে যাকে হজ করতে পাঠাবেন তার আগে নিজের জন্য হজ করতে হবে। তাহলে সেই অসুস্থ ব্যক্তির জন্য তিনি হজ করতে পারবেন। অতএব বলা যায় মহিলাদের হজ পালনের জন্য সর্বপ্রথম জিম্মাদার থাকা লাগবে তা না হলে হজ পালন করতে পারবে না। আর একটি নারীর উপর যদি তার সামর্থ্য অনুযায়ী হজ ফরজ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাকে হজ পালন করতে হবে।

হজ পালনে নারীদের সক্ষমতা

আমরা উপরোক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। প্রিয় পাঠক আর্টিকেলের মাধ্যমে হজ পালনে নারীদের সক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে তা দেওয়া হলঃ

হজ পালনের নারীদের সক্ষমতা সাধারণত তিন ধরনের যেমন-  
  • আর্থিক সক্ষমতা
  • শারীরিক সক্ষমতা
  • মাহরাম সাথে থাকা

সুতরাং বলা যায় যদি কোন মহিলার আর্থিক ক্ষমতা, শারীরিক সক্ষমতা এবং মাহরাম সঙ্গে থাকে তাহলে সেই নারীর উপর আল্লাহ তায়ালা হজ করে দিয়েছেন। তবে যদি শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষমতা থাকে তাহলেও তার ওপর হজ ফরজ করে দিয়েছেন। এখানে যদি তিনি নিজে না যেতে পারেন অন্যকে দিয়েও তার নামে হজ পালন করাতে পারবে কিন্তু যাকে দিয়ে হজ পালন করতে দিবেন সর্বপ্রথম তার জন্য হজ পালন করা লাগবে। 

আর যদি শুধুমাত্র শারীরিক সক্ষমতা থাকে তার উপরে হজ্ব ফরজ নয়। কিন্তু যদি তিনি নিজে হজের উদ্দেশ্যে বের হয় তাহলে তার হজ পালন হয়ে যাবে। শুধুমাত্র মুহুরিম সাথে না থাকার কারণে তার গোনা হবে। অতএব উপরোক্ত তিনটি সক্ষমতা থাকলে নারীরা অবশ্যই হজ্জ পালন করতে পারবে।

মেয়েদের ইহরামের নিয়ম

প্রিয় পাঠক উপরুক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা ইতিমধ্যে মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। এবার আমরা মহিলাদের ইহারামের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে তা দেওয়া হলোঃ

  • মেয়েদের হালকা রঙের কাপড় পরিধান করতে হবে এবং তা আরামদায়ক হতে হবে।
  • মেয়েদের বেশি এবং মোটা কাপড় দিয়ে বিহারাম বাঁধতে হবে যাতে শরীরের ভেতরের অংশগুলো না দেখা যায়। এবং কাপড় যেন একদম শরীরের সাথে লেগে না থাকে।
  • মেয়েরা সাদা কালো যে কোনো ধরনের বোরকা পরতে পারবে কিন্তু মেয়েরা বেশিরভাগ সাদা বোরখা পছন্দ করে কারণ ছেলেদের সাথে মিলিয়ে বোরকা পড়তে পছন্দ করে। আবার অনেকে আছে কালো বোরকা ও পরে। তবে দিনের বেলায় সাদা বোরকা পরাই ভালো কেননা সূর্যের বেগুনি রশ্মি সাদা কাপড়ের উপর পড়লেও শরীর ঠান্ডা থাকে।
  •  আপনি যদি সাদা বোরখা পড়েন তাহলে তার নিচেও সাদা রঙের কাপড় পরিধান করতে হবে যদি অন্য রঙের কাপড় পরিধান করেন তাহলে তা সাদা পোশাকের উপর বোঝা যাবে।
  • মেয়েদেরকে অবশ্যই লম্বা হিজাব পড়তে হবে এবং নেকাপ ও পরিধান করতে হবে যাতে মুখ মন্ডল না দেখা যায়।

মেয়েদের ইহরামের নিষেধাজ্ঞা

মেয়েদের ইহরামের বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই সমস্ত নিষেধাজ্ঞাগুলো নিম্নে দেওয়া হল-

আরো পড়ুনঃ আল্লাহর ৯৯ টি নামের তালিকা - আল্লাহর ৯৯ টি নাম বাংলা অর্থ সহ 

  • হজের সময় মেয়েরা নখ কাটা এবং সেভ করতে পারবেনা।
  • বিভিন্ন ধরনের উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরিধান করতে পারবে না।
  • হজের সময় মেয়েরা মেকআপ এবং বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে না। এমনি প্রাকৃতিক ভাবে নিজেকে দেখতে যেমন তেমনটাই রাখা উচিত।
  • মেয়েদের কোন গয়না বা মালা পরা যাবে না।
  • ইহরামের সময় বা অবস্থায় নিজের মুখ মন্ডল ঢেকে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • এই সময় স্বামীর সাথে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • গীবত এবং খারাপ ভাষায় গালি মন্দ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • হজের সময় জীবন্ত কোন ধরনের পশু পাখিকে ক্ষতি করা যাবে না।

পরিশেষে বলা যায় হজের সময় উপরোক্ত খুব কাজগুলো থেকে আপনাকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। তা না হলে আপনার হজ পালন সক্ষম হবে না।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এবং ইহরামের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা যারা মেয়েরা আছেন তা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। এবং আপনারা যদি হজ পালন করতে যান তাহলে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী হজ পালন করুন। আমাদের এই পোস্ট পাওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url