ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে - ডেঙ্গু রোগের টেস্ট

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণআসসালামু আলাইকুম, আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে এবং ডাক্তারের চিকিৎসা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগের টেস্ট কি দিয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর হলে আমরা অনেকেই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বর হলে কিভাবে ভালো হবে এবং ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে। আজকে আমরা সে সম্পর্কে জানবো।
চিকিৎসকের অনুযায়ী ডেঙ্গুজ্বর সাধারণত দুই ধরনের হয়। এ পোস্টে ডেঙ্গু জ্বর দুই ধরনের কিন্তু কি কি সেগুলো সম্পর্কে জানবো এবং ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে

চিকিৎসকরা বলে থাকেন ডেঙ্গু জ্বর দুই রকম হয়। ডেঙ্গু জ্বর এর এ দুইটি নাম হল একটি হেমোরেজিক এবং আরেকটি হল ক্লাসিক্যাল। ক্লাসিক্যালভাবে যে রোগটি অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বর টি হয়ে থাকে এটা পাঁচ দিন থেকে সাত দিনের মতো সময় নেয় ভালো হওয়ার জন্য। সর্বোচ্চ সময় ১০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। দ্বিতীয়টি যে রোগ হয়ে থাকে এটা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ডাক্তাররা জানিয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে রক্ত চাপ কমতে থাকে এবং প্লেটলেট কমতে থাকে। অনেক রোগীর মধ্যে দেখা গেছে ডেঙ্গু জ্বর হলে প্লেটলেট

আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার - ডেঙ্গু রোগের ওষুধ

খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে কিন্তু দুইদিন থেকে তিন দিনের মধ্যে প্লেটলেট আবার স্বাভাবিকভাবে চলে আসছে। একজন ব্যক্তি যদি হেমোরেজিক অর্থাৎ শখ সিনড্রোম হয় তাহলে তার শরীরের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুব দ্রুত আক্রান্ত হয়। এই সময় রোগীকে দ্রুত মেডিকেলে ভর্তি করার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ করেন। এই রোগটি যদি কোন শরীরের বা মানব দেহে প্রবেশ করে তাহলে সেরে উঠতে অনেক বেশি সময় নেয়। ডেঙ্গু জ্বর যদি হেমোরেজিক অবস্থায় থাকে তাহলে একজন ব্যক্তির যদি বেশিদিন

সময় লাগে তাহলে দিনের উপর নির্ভর করে তার শরীরে কি পরিমান ক্ষতি হবে সেটা বোঝা যায়। ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে এ রোগটি যদি হয়ে থাকে তাহলে অনেক সময় বছরেরও বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় ভালো হওয়ার জন্য। তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া এবং খুব দ্রুত মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল কি করা যায়

আমরা অনেকে মনে করি যদি জ্বর হয় তাহলে গোসল করা যাবে না। জ্বর অবস্থায় থাকলে সে সময় যদি কেউ গোসল করে তাহলে ঠান্ডা লেগে যাবে এরকম ধরনের মানুষের ভুল ধ্যান ধারণা হয়ে থাকে। আমাদের দেশের মধ্যেও জনপ্রিয় হলো যদি কোন ব্যক্তি জ্বর হয় তাহলে মাথায় পানি ঢালা এবং জলপট্টি দেওয়া। জ্বর হওয়া অবস্থায় যদি কোন ব্যক্তি গোসল না দেয় তাহলে তার শরীরে তাপমাত্রার জন্য সে অস্থির হয়ে পড়ে এবং শরীর অনেক খিটমিটে হয়ে যায়। গোসল না করার কারণে অনেক

পরিমাণ খারাপ লাগা অনুভূতি শুরু হতে থাকে। ওষুধ খাওয়ার পরে জ্বর ছুটলে শরীর অতীর্থ পরিমাণ ঘামতে থাকে এই সময় যদি কেউ গোসল না করে তাহলে সে অতিরিক্ত পরিমাণে অসুস্থ ভাব করতে থাকে। আপনার শরীরে যদি 101 ডিগ্রি তাপমাত্রা জ্বর হয় তাহলে আপনার প্রয়োজন গোসল করা এর ফলে আপনার শরীরে যে তাপমাত্রা সেটা সাময়িকভাবে কমে আসতে সাহায্য করে এবং শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। উপরোক্ত টেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে সে সম্পর্কে বলা হয়েছে।

সুস্থ ব্যক্তির মানবদেহে প্লাটিলেট কত থাকে

ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার কারণে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রক্ত চেয়ে পোস্ট করা দেখা যায় এতে বোঝা যায় যে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার কারণে কতটা পরিস্থিতি জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার ফলে প্লাটিলেট কমে যাওয়ার কারণে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে এর ফলে অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজনে হচ্ছে। মানুষের শরীরে রক্ত তিন ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল ক্ষুদ্র রক্তকণিকা রক্ত কণিকা এবং অনুচক্রীয়া যা বাংলায় বোঝা যায়। আপনার শরীরে যদি সুস্থ অবস্থায় থাকেন তাহলে প্লাটিলেট রক্ত

আরো পড়ুনঃ শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা

জমাট এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য সাহায্য করে থাকে। একজন সুস্থ ব্যক্তির মানবদেহের প্লাটিলেট এর মাত্রা সর্বনিম্ন দেড় লাখ এবং এর চেয়ে বেশি হলো চার লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে। একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে যদি প্ল্যাটিলেট কমে যায় তাহলে শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে পায় না এর ফলে রক্তক্ষরণ এর সমস্যা বেশি দেখা যায়।

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করনীয়

ডেঙ্গুর জ্বর প্রতিরোধ করণীয় জানার আগে আমরা জেনে নেই ডেঙ্গু মশা কোথায় থেকে সৃষ্টি হয়। গ্রীষ্মকালীন সময় সাধারণত ডেঙ্গু মশা বৃদ্ধি হতে থাকে। বর্ষাকালীন অবস্থায় যখন বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে সেই সময় তারা ডিম পেড়ে বংশবিস্তার করতে থাকে। তাই চলুন আমরা নিম্নে জেনে নেই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করণীয় কি কি।
  • ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা না থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  • বাসাতে যদি অতিরিক্ত পরিমাণ মশা হলে মশা তাড়ানোর ঔষধ এবং মশারি ব্যবহার করতে হবে।
  • গ্রীষ্মকালীন অবস্থায় ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে তাই ফুলহাতা জামা পরা উত্তম এবং বাইরে যাওয়ার সময় এভাবেই যেতে হবে।
  • অতিরিক্ত মশা হলে জানালা বন্ধ করে রাখতে হবে।
  • বাসাতে যদি কোন জায়গায় পানি জমে থাকে তাহলে পরিষ্কার করে ফেলুন।
  • কোন ধরনের পাত্রে যদি পানি জমে সেগুলো ঢেলে ফেলুন।
  • বাসাতে চারিপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
  • ডেঙ্গু হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • ডেঙ্গু দিনে এবং রাতে দুই সময়ে কামড়ায়।

ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা

আমাদের দেশে ডেঙ্গু জ্বরের রোগী অতিরিক্ত পরিমাণ আবার সনাক্ত হচ্ছে। তাই চলুন আমরা সর্বপ্রথম যদি শরীরে ডেঙ্গু জ্বর হয় তাহলে ঘরোয়া চিকিৎসাগুলো সম্পর্কে জেনে নেই। ডেঙ্গু জ্বর হলে কোন না কাজ করে বিশ্রাম নিন এবং আপনার শরীরে জ্বর হলে পানি সংকট দেখা দিতে পারে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন এবং তরল খাবার যেগুলো রয়েছে এগুলো খাবার খান। আপনার শরীর যদি হাইড্রেশন হয় তাহলে আপনার অঙ্গের বেশি ব্যথা এবং অতিরিক্ত পরিমাণ মাথা ব্যথা করতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে প্লাটিলেট এর সংখ্যা কমে যায় এর জন্য বাড়াতে আপনি পেয়ারার রস পান করেন এবং পেঁপে পাতার রস পান করবেন। এগুলো যদি পান করেন তাহলে আপনার প্ল্যাটিলেট কমবে না এর ফলে আপনার শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করবে। আপনার শরীরের রক্তক্ষরণ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমন পেয়ারা অতিরিক্ত পরিমাণ খাবেন। আপনি গরম পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ করে নিয়ে মেথি ভিজিয়ে রাখবেন যতক্ষণ পর্যন্ত পানি ঠান্ডা না হচ্ছে তখন পর্যন্ত পান

করবেন না ঠান্ডা হওয়ার পর পান করুন। এর ফলে আপনার শরীরে ডেঙ্গু জ্বর খেয়ে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং রোগের ধান ক্ষমতা বাড়াবে। আপনি যদি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত পরিমাণ ভালো খাবার খেতে হবে যেমন পালন শাক, ক্যাপসিকাম,, কাঠ বাদাম রসুন এবং হল এরকম জাতীয় খাবার খেতে হবে। গোলমরিচ এবং তুলসী পাতা সিদ্ধ করার পরে ঠান্ডা পানি পান

আরো পড়ুনঃ কিডনি পাথরের লক্ষণ - কিডনিতে পাথর হলে কি খাওয়া যাবে না

করবেন। এভাবে আপনি যদি নিয়ম মেনে খাবার খান এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান তাহলে আপনি ডেঙ্গুজ্বর ঘরোয়া চিকিৎসা উপকার পাবেন। ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে সে সম্পর্কে গুরুত্ব আলোচনা করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে এবং ডেঙ্গু জ্বরে ঘরোয়া চিকিৎসা আলোচনা করা হয়েছে।

ডেঙ্গু রোগের টেস্ট

ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ বাড়ার কারণে ডাক্তারের অনেক ধরনের টেস্ট দিয়ে থাকেন চলুন আমরা সেই টেস্টগুলো নাম জেনে নেই। ডেঙ্গু পরীক্ষার নাম হল এনএস ওয়ান, আইজিএম এবংআইজিজি এগুলো পরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ করে থাকে। এগুলো পরীক্ষা করার জন্য ৫০ টাকায় করা হয় বর্তমানে অতিরিক্ত রোগের জন্য এসব পরীক্ষায় ১০০ টাকা করে নিয়ে থাকেন। শেখ দাউদ আদনান বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তার তিনি বলেন এ ফি শুধু পরীক্ষা করার জন্য নেওয়া হয়ে থাকে।

শেষ কথাঃ ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে

আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে এবং ডেঙ্গু রোগের টেস্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করেছি। আপনাদের যদি ডেঙ্গুজ্বর বিষয়ে কোন ধরনের ভুল ধারণা থেকে থাকে তাহলে এই পোস্টটির সম্পূর্ণভাবে পড়লে অবশ্যই আপনার যেগুলো ভুল ধারণা রয়েছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে। ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে অনেক ধরনের সমস্যায় ভুগেন সেইগুলো সম্পর্কে এবং কি কি প্রতিরোধ রয়েছে এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি উপকারে আসবে ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url