দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় - দাঁতের মাড়ি ব্যথার ঔষধ

আপনি যদি দাঁতের যত্ন না নেন এবং মুখের যত্ন না নিলে দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক। দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়ও দাঁতের মাড়ি ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে এ পোস্টে আলোচনা করা হবে। আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণ দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হয় তাহলে দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় কি কি এবং দাঁতের মাড়ি ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হবে। চলুন দেরি না করে জেনে নেই, দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় ও দাঁতের মাড়ি ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে।
দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় আপনাকে ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা করতে হবে এবং অতিরিক্ত ব্যথা হলে দাঁতের মাড়ি ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে জানতে হবে। এ পোস্টে সবকিছু আলোচনা করা হবে।

সূচিপত্র

ভূমিকাঃ দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়

দাঁতের মাড়ি ব্যথা হলে দাঁতের তীব্র ব্যথা অনুভব হয় এবং মাটিতে পুরুষ জমতে থাকে। এজন্য দাঁতের অবহেলা করা উচিত নয়। আপনার যদি ঘরোয়া ভাবে কিছু উপায় জানা থাকে তাহলে সেগুলো উপলব্ধি করতে হবে। মাড়ি ব্যথার কারণে মানুষ অনেক অস্বস্তিতে ভোগে এবং অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে স্বস্তি না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। চলুন জেনে নেই দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়। দাঁতের মাড়ির ব্যথা হলে কিছু ঘরোয়া উপায় আলোচনা করা হলো।

গরম পানি সেঁক ঠান্ডা পানি সেঁক

অতিরিক্ত দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে কার্যকরী উপায় হল সেঁক দেওয়া। গরম পানি দিয়ে অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনাকে ভালো সেঁক দিতে হবে। আপনি গরম পানিতে পরিষ্কার নরম কাপড় ভিজিয়ে সুন্দরভাবে ভাঁজ করে কাপড়টি গলার যেখানে অতিরিক্ত ব্যথা হচ্ছে সেই স্থানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। গরম পানি সহনীয় হতে হবে। আবার ঠান্ডা পানির সেঁকের জন্য বলা যায়, একটি বরফের অংশ নিয়ে পরিষ্কার কাপড়ে রেখে গলা যে স্থানে ব্যথা অনুভব করছেন সেই স্থানে লাগিয়ে রাখতে হবে।

আপনার মাড়ির ব্যথার কমা না পর্যন্ত একবার ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন। আবার আরেকবার গরম সেঁক দিতে পারেন।

দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে লবণ পানি কুলকুচি

দাঁতের মাড়ির ব্যথা হলে করণীয় হল লবণ পানি কুলকুচি করা। লবন পানি দিয়ে কুলকুচি করা এটি একটি কার্যকারী উপায়। আপনি যদি লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করেন তাহলে আপনার মুখের যত ব্যাকটেরিয়া রয়েছে দূর করে দেয় এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ করে। লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করার জন্য আপনাকে কুসুম গরম পানির মধ্যে এক চামচ লবণ মিশ্রণ করে আপনাকে কুলকুচি করতে হবে। অবশ্যই মাথা রাখবেন যেন খেয়ে না ফেলেন। কিছুক্ষণ গুড়খুঁজি করার পরে ফেলে দিতে হবে এভাবে কমপক্ষে ৩-৪ বার কুলকুচি করতে হবে। দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় এটি কার্যকরী উপায়।

হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহার করা

আপনার যদি তীব্র দাঁতের মাড়ি ব্যথা হয় তাহলে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার বাড়ির ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড হলো মুখের জীবাণু ধ্বংসের শক্তিশালী উপায়। আপনি যদি মুখে অন্য কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অনেক কার্যকরী। আপনি অর্ধেক পানির মধ্যে অর্ধেক হাইড্রোজেন পাওয়ার অক্সাইড মিশ্রণ করে আপনার মুখের ভিতরে সর্বনিম্ন ২০ সেকেন্ড রেখে ফেলে দিতে হবে। তারপরে আবার কুসুম পানি দিয়ে মুখের ভিতরে ভালো মতো ধুয়ে ফেলতে হবে।

চা খাও চাপাতির ব্যবহার অর্থাৎ টি ব্যাগ

গরম পানির মধ্যে চাপাতিগুলো সর্বনিম্ন পাঁচ মিনিট রেখে দিতে হব। তারপরে ঠান্ডা হওয়ার পরে আপনার মাড়ির আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন দেখবেন আপনি চায়ের উপকার পাবেন না কিন্তু চায়ের মধ্যে িএস্ট্রিনজেন্ট প্রপার্টি আছে এমন একটি বিবেক অথবা চাপাতি লাগবে যেমন গ্রিন টি অথবা ব্ল্যাক টি। আরো অনেক ধরনের টি ব্যাগ রয়েছে যার মধ্যে এন্টি ইনফ্লামেটরি চা ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ টিবি রোগের লক্ষণ - টিবি রোগের প্রতিকার

প্রাকৃতিকভাবে হলুদের পেস্ট

দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় প্রাকৃতিকভাবে হলুদের পেস্ট। হলুদের পেস্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমত এক চা চামচের চার চামচ হলুদ নিতে হবে এর মধ্যে একটু পানি মিশিয়ে আপনার মাড়ির তীব্র ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখতে হবে। আপনি পাঁচ মিনিট লাগিয়ে রাখতে পারেন এবং বাড়িতে আসতে আসতে হলুদের টেস্ট প্রয়োগ করে ম্যাসাজ করতে পারেন। এগুলো করার পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার মুখের ভেতরটা ধুয়ে ফেলুন। দাঁতের মাড়িতে ব্যথা না যাওয়া পর্যন্ত আপনি হলুদের পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় মধ্যে এটি একটি কার্যকারী উপাদান।

দাঁতে মাড়ি ব্যথার ঔষধ

আপনার যখন দাঁতে ইনফেকশন হয় তখন সাধারণত ওষুধ খেলে দাঁতের ব্যথা কমে না সেজন্য আপনাকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে প্রয়োজন হতে পারে। চলুন আমরা জেনে নেই এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর ব্যবহার এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। এন্টিবায়োটিক ঔষধ সাধারণত সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে দাঁতের জন্য। দাঁতের মাড়ির ব্যথার ঔষধ হলো এন্টিবায়োটিক। দাঁতের ব্যথা হলে নরমাল ওষুধ খেয়ে কোন কাজে আসে না। চলুন জেনে নেই দাঁতে মাড়ির ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে।

দাঁত ব্যথার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা

সাধারণত দাঁত ব্যথার মূল কারণ হলো আপনার দাঁতের ভিতরে অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত করে এবং দাঁতের বিভিন্ন অংশ নষ্ট করে দেয় সেই সময় দাঁতে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যাথার অনুভব হয়। কিন্তু সাধারণত নরমাল ওষুধ খেলে দাঁতের ব্যথা কমে না সেজন্য দাঁতের মাড়ি ব্যথার ঔষধের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার জানতে হবে। তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য ৫০০/২৫০ এমজি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়। আপনার মনে রাখা প্রয়োজন যে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ গলগন্ড রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - থাইরয়েডের ঘরোয়া উপায়

সাধারণ দাঁত ব্যথা হলে আপনার এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন পড়বে না। আপনার দাঁতে মারি ব্যথার জন্য ঘরোয়া উপায় কিছু উপলব্ধি করতে হবে এবং সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে। দাঁত ভালো রাখার জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে চিকিৎসকের এই আবিষ্কৃত পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করলে দাঁতের ব্যথা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়ে থাকে। পরিচিত হাতে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে ভালো ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এন্টিবায়োটিক সেবন করুন।

দাঁতের ব্যথা ফেরার কারণ

আপনি যদি এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে থাকেন কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করেননি তাহলে পরবর্তীতে এই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া যাবেনা। আপনি যদি এন্টিবায়োটিক ওষুধটি অনুপস্থিতির ডোজের মাধ্যমে আবার সেবন করেন তাহলে আপনার দাঁতের ব্যথা আবার ফিরে আসতে পারে। সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে অনুপস্থিতি সেবন করতে হবে। আপনি যদি ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী আবার এন্টিবায়োটিক ডোজ সেবন করেন তাহলে আপনার দাঁতের ব্যথা না ফিরে মুক্তি পেয়ে যাবেন। তাই জটিল রোগ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন না করাই শ্রেয়।

শেষ কথাঃ দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়। দাঁতের মাড়ি ব্যথার ওষুধ

আপনি যদি উপরোক্ত আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে দাঁতের মাড়ি ব্যথা হলে করণীয় ও দাঁতের মাড়ি ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে। উপরোক্ত সবকিছু আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনার এই আর্টিকেলটি উপকারে আসবে। আপনি যদি নিয়ম মেনে এন্টিবেটিক ঔষধ সেবন করেন এবং মুখের ভেতরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন তাহলে আপনার দাঁতের মাড়ির ব্যথা হবে না। দাঁতের মাড়ির জন্য অতিরিক্ত সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েন। ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url